আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের কথা জিজ্ঞাসা করতেই মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমি খেলা দেখতে আগামীকাল (আজ) মিরপুর যাব। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুটি দলের লড়াই কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল, এখনকার ক্রিকেটপ্রেমীরা বলতেই পারবে না। আমরা দুই দলের ক্রিকেটার, কর্মকর্তারা ম্যাচটি নিয়ে ভীষণ এক্সাইটেড থাকতাম। আমি ভীষণ ভাগ্যবান যে, দুই দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। দুই দলকেই ম্যাচ জিতিয়েছি।’ সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক নান্নু নিজের সময়ে ছিলেন দেশের সেরা ব্যাটার। দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে বহু ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন আবাহনী ও মোহামেডানের হয়ে। সাবেক অধিনায়ককে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তার দেখা আবাহনী ও মোহামেডানের সেরা ম্যাচ কোনটি? এক-দুটি ম্যাচের কথা নির্দিষ্ট করে বলতে চাইলেন না নান্নু। এক-দুটি ইনিংসের কথাও বলতে চাননি। তবে ব্যক্তিগত একটি ইনিংসের কথা বলেন, ‘আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচে আমি নিজেই অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছি। বুলবুল খেলেছে। আকরাম খেলেছে। তবে শ্রীলঙ্কার অথুলা সামারাসেকেরার ইনিংসটির কথা মনে থাকবে আমার সারাজীবন।’ একজন ব্যাটার এমন করে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারে, সামারসেকেরার ইনিংসটি না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। তবে একটি জুটির কথা না বললেই নয়। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের কথা বলছি। সেবার মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আবাহনীকে হারাতেই হতো। এমন পরিসংখ্যানের ম্যাচটি মোহামেডান জিতেছিল ৭ উইকেটে। ম্যাচটিতে আমি ও শ্রীলঙ্কার গুরুগে শতরানের ওপর অবিচ্ছিন্ন একটি জুটি গড়েছিলাম। গুরুগে ৬৮ ও আমি ৭০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলাম। ওই জুটিটিই মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন করেছিল।’ মিনহাজুল আবেদীন নান্নু যখন মোহামেডানে খেলেছিলেন, তার সঙ্গী হিসেবে তখন খেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ও ১৯৯৬ সালের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার সনাথ জয়াসুরিয়া। আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচের আবেদন এখনকার ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে নেই। কিন্তু নান্নুর কাছে আগের মতোই আছে।