দেশের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলো চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্যাসিফিক জিনস-১, প্যাসিফিক জিনস-২, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, ইউনিভার্সেল জিনস, এনএইচটি ফ্যাশন, জিনস ২০০০ ও প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইপিজেডের বিভিন্ন সেক্টরে প্যাসিফিক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর ও কর্মরত শ্রমিকদের জিম্মি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কর্তৃপক্ষ কারখানা চালানোর মতো অনুকূল পরিবেশ নেই উল্লেখ করে আটটি কারখানা বন্ধের নোটিস দেন।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের আটটি কারখানা বন্ধের নোটিস দিয়েছে মালিকপক্ষ। এই আইনে যতদিন কারখানা বন্ধ থাকবে ততদিন শ্রমিকরা বেতন পাবেন না। এসব কারখানায় কর্মকর্তা বাদে শ্রমিক আছেন ৩১ হাজার ২০০ জন। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাবিতে প্যাসিফিক গ্রুপের শ্রমিকরা পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। কারখানার অভ্যন্তরীণ কয়েকটি বিষয় ছাড়া বেশির ভাগ দাবিই সমাধান হয়ে গিয়েছিল। তারপরও বৃহস্পতিবার প্যাসিফিক জিনসে শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আমরা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এর মধ্যে দুজন শ্রমিক মারা গেছেন বলে গুজব রটানো হলে আটটি কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসে অশান্তি তৈরি করেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। প্যাসিফিক গ্রুপের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু শ্রমিক অবৈধভাবে কাজ বন্ধ করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। মারামারি ও ভাঙচুরে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা আহত হন এবং প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ অবস্থায় শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।