খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে পাড়াবনবাসীদের সম্পৃক্ত করে কাজ শুরু করেছে ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্ট’। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে পাবলাখালী রিজার্ভ ফরেস্ট (পাড়াবন) পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বন সংরক্ষণে স্থানীয়দের মতামত ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ের এই পাড়াবন স্থানীয়দের উদ্যোগে সংরক্ষিত হয়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় ৭০০ একর জুড়ে বিস্তৃত এই বনভূমিতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক গাছপালা, বন্যপ্রাণী, ঝর্ণা, ছড়া ও ঝিরিতে পাওয়া যায় নানা প্রজাতির মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ি—যা এখানকার জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৫২নং পাবলাখালী মৌজার হেডম্যান বিকাশ চাকমা জানান, প্রায় ১ হাজার ৩০০ পরিবার এ বন রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁর মতে, ‘ভিসিএফ (ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম) কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।’
জেলা পর্যায়ে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকেতন চাকমা বলেন, ‘বন ও পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়রা ইতোমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। পাড়াবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা গেলে এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৫০টি স্থানে আগামী তিন বছরব্যাপী এই প্রকল্পের আওতায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কার্যক্রম চলবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ