মেকআপের জগতে ব্রাশ এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। নিখুঁতভাবে ফাউন্ডেশন, কনসিলার, ব্লাশো কিংবা আইশ্যাডো ব্লেন্ড করার জন্য এর বিকল্প নেই। কিন্তু রূপচর্চার এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণটি পরিষ্কার না করে ফেলে রাখেন। অথচ অপরিষ্কার মেকআপ ব্রাশ থেকে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
কেন ব্রাশ পরিষ্কার করা জরুরি?
নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে ব্রাশের লোমগুলোতে মেকআপের অবশিষ্টাংশ, তেল, ধুলো এবং মৃত কোষ জমে থাকে। এগুলোই ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর বংশবৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি করে। সেই জীবাণুগুলো ত্বকে সংক্রমণ ঘটিয়ে ব্রণ, এলার্জি, র্যাশ এবং প্রদাহজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হোপ মিশেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিয়মিত ব্রাশ পরিষ্কার না করলে এতে ব্যাকটেরিয়া, তেল এবং মৃত ত্বকের কোষ জমতে থাকে। এসব থেকে ত্বকজনিত রোগ দেখা দেয়।’ অ্যাস্টনস ইউনিভার্সিটি’র গবেষণায় দেখা গেছে, বিউটি ব্লেন্ডারের মতো মেকআপ স্পঞ্জে ‘স্ট্যাফিলোকোকাস অরিয়াস’ এবং ‘এন্টারোব্যাক্টেরিয়াসি’র মতো জীবাণুর উপস্থিতি থাকে। যা প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
কতদিন পরপর পরিষ্কার করবেন?
রূপচর্চা বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাশ পরিষ্কারের রুটিন নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরন এবং ব্যবহারের ওপর। ডা. হোপ মিশেলের মতে :
সাধারণ ত্বক : সপ্তাহে অন্তত একবার মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার করা উচিত।
তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ ত্বক : এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্রাশ পরিষ্কার করা ভালো।
নিউইয়র্ক সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পূজা রম্ভিয়া বলেন, ‘জীবন যত ব্যস্তই হোক না কেন, সপ্তাহে অন্তত একবার ব্রাশ পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুললে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।’