ব্ল্যাক কফি ওজন কমাতে কার্যকর হতে পারে, এমন তথ্য সামনে এসেছে কানাডার আলবের্তা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ এক গবেষণায়। গবেষকরা বলছেন, কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও অন্যান্য উপাদান শরীরের বিপাকের হার বাড়িয়ে ফ্যাট দ্রুত ঝরাতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, কফি তিনটি প্রধান কারণে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রথমত, ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা বিশ্রাম অবস্থায়ও ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়ত, কফি অ্যাড্রেনালিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়, যা ফ্যাট সেল ভেঙে শক্তি হিসেবে ব্যবহার হয়। আর তৃতীয়ত, কফি শরীরের তাপমাত্রা সাময়িকভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ বাড়ায়। এই প্রক্রিয়াটিকে থার্মোজেনেসিস বলা হয়।
পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো জানিয়েছেন, শুধু কফি খেয়ে ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় ব্ল্যাক কফি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
১. দুধ, চিনি বা ক্রিম ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করুন।
২. শরীরচর্চার ৩০-৬০ মিনিট আগে কফি খেলে বেশি শক্তি মেলে এবং ক্যালরি দ্রুত ঝরে।
৩. দিনের শুরুতেই কফি খেলে বিপাকের হার ৩-১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।
৪. দুপুরের খাবারের আগে কফি খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায়:
কফির সঙ্গে দারচিনি, লেবু রস বা গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এসব উপাদান হজম ও বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়ক।
সতর্কতা:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে ৩-৪ কাপের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বাড়াতে পারে, হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এছাড়া, ঘুমানোর অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে কফি এড়ানো জরুরি।
সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে ব্ল্যাক কফি ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/মুসা