রংপুর মহানগরের মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার বড় দরগা এলাকায় স্বামী ও সতিন মিলে রাতভর গাছে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন করেছেন। এই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। গতকাল সকালে মাহিগঞ্জ থানার পুলিশ নির্যাতিত গৃহবধূ ও সতিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে বিকালে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে মাহিগঞ্জ থানায় স্বামীসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ সতিন আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে গৃহবধূ শেফালী বেগম (৪২) স্বামীর বাড়িতে এলে তার স্বামী নজরুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫) মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে মধ্যরাতে তাকে বাড়ির উঠানে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ভোরের দিকে ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের ভয়ে কেউ বাঁধন খুলে দিতে সাহস পায়নি। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ভিডিও দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন।
নির্যাতনের শিকার শেফালী বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, একই উপজেলার পাওটানা হাটের নিজতাজ গ্রামে তার বাড়ি। ২০১৪ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন স্বামী নজরুল ইসলাম ও সতিন আমেনা। নির্যাতনের কারণে তিনি তার নিকটজনের কাছে প্রায় এক বছর থেকে আশ্রিত ছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনি স্বামীর বাড়িতে গেলে স্বামী নজরুল বলেন, তাকে তালাক দিয়েছেন। তিনি তার স্ত্রী নন। এ সময় শেফালী বেগম তালাকের কাগজ দেখতে চাইলে তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস বলেন, এ বিষয়ে মামলা হলে পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।