ঝিনাইদহে কাজী হাসানুজ্জামান নামের এক ট্রাফিক পরিদর্শকের বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। হাসানুজ্জামান বর্তমানে নড়াইল জেলা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) পদে কর্মরত।
জানা গেছে, হাসানুজ্জামান কয়েক দফায় ঝিনাইদহ জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি শহরের আল-হেরা মোড় এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে সাত শতক জমি কিনে আধুনিকমানের পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন। সেখানে অন্তত ১৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজারমূল্য অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকা। সূত্র বলছে, মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের সঙ্গে হাসানুজ্জামানের গভীর সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্কের জেরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে কোটি কোটি টাকা কামান হাসানুজ্জামান। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এসব টাকা দিয়ে ঝিনাইদহ ছাড়াও তার নিজ জেলা মাগুরা, যশোর ও নড়াইলে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এমনকি আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিধিবহির্ভূতভাবে পদায়ন ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছেন তিনি।
জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে এক শ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তা ধরাকে সরা মনে করে আখের গুছিয়েছেন। হাসানুজ্জামান তাদেরই একজন। সংশ্লিষ্টদের উচিত তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের দিকে নজর দেওয়া।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসানুজ্জামান বলেন, বৈধ আয়ে জমি কিনে বাড়িটি করেছি। সেখানে কয়েকটি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ফ্ল্যাটের ব্যবসা করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নড়াইলের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।