ফরিদপুরের ভাঙ্গায় থানা ভাঙচুর মামলায় নজরুল শিকারী (৬৫) নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার কলেজপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
নজরুল শিকারী ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচন করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা হয় ভাঙ্গা থানায়। মামলার বাদী হন ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আরও অনেককে আসামি করা হয়।
এ মামলার প্রধান আসামি করা হয় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে। এই মামলার ১২ নম্বর আসামি নজরুল শিকারী।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের সঙ্গে একীভূত করে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে ওই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। তারা এ দুই ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসনের সঙ্গে বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করেন। এ আন্দোলন চলাকালে ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভাঙ্গা থানা, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতর, ভাঙ্গা নির্বাচন অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙ্গা থানা ভাঙচুর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে নজরুল শিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি