দেশে নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বগুড়া। আজ অথবা আগামীকাল গণবিজ্ঞপ্তি জারি হলে বগুড়া হবে দেশের বড় সিটি করপোরেশনগুলোর একটি। আওয়ামী লীগের সময়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়নবঞ্চিত বগুড়াবাসী উন্নয়নের দাবি তুললে তা জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা প্রস্তাবনা আকারে পেশ করেন।
এরপর থেকেই সিটি করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন চেয়ে গত ১০ এপ্রিল চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়ার জনগণ সিটি করপোরেশন দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলছেন, আজ রবিবার অথবা আগামীকাল সোমবার সিটি করপোরেশনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া পৌরসভাটি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠত হয়। ১৯৮১ সালে পৌরসভাটি ‘ক’ শ্রেণির মর্যাদা পায়।
কালক্রমে আয়তন বাড়তে বাড়তে ২০০০ সালে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। এরপর ২০০৪ সালে বর্ধিত করে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার করা হয়। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের জন্য আয়তন হতে হয় কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১০ লাখ। কিন্তু বাস্তবে এই পৌরসভায় বেশি জনবসতি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের চেয়ে আয়তনেও বড়।
এদিকে বগুড়া সিটি করপোরেশন গঠনে গণবিজ্ঞপ্তি তৈরি করা প্রায় শেষ। বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার জানান, আওয়ামী লীগের সময়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়নবঞ্চিত বগুড়াবাসী। তাই উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া পৌরসভাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, সিটি করপোরেশনের সীমানা চূড়ান্ত করতে মৌজাভিত্তিক কাজ করা হয়েছে। বগুড়া সিটি করপোরেশন এখন সময়ের বিষয় মাত্র। সিটি করপোরেশন গঠনের মাধ্যমে বগুড়ার উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখা সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম