বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বৈঠকে বলা হয়েছে, সংস্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে- সেগুলোর বাইরে এখন সংস্কার করার প্রয়োজন নেই। সেগুলো করতে হবে পাবলিক ম্যান্ডেট নিয়ে। কাজেই ঐকমত্যের ভিতরের সংস্কারগুলো দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি সরকারের উচিত নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু করা। সেক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব।
গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সমমনা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে উভয় পক্ষের নেতারা একমত পোষণ করেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। অন্যদিকে বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের মহাসচিব মতিন সউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোস্তফা তামজিদ, ওয়াশিকুর রহমান, সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সোহেল আসিফ, এ বি এম আজিজুল হক, গোলাম রাব্বানী, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান ও ফয়সাল তাহের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে সব বিষয়ে একমত হতে হবে- এটা যারা চিন্তা করে- এটা বাকশালী চিন্তা। যেটা শেখ হাসিনার পিতা করেছিলেন। কারণ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা থাকবে, ভিন্নমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সবাই যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে সেগুলো নিয়ে একটা ‘ন্যাশনাল সনদ’ তৈরি করে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলেই হয়। দেশের ৫০টা রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনেক বিষয়ে অনেক রকমের মতামত থাকতেই পারে। তার ওপর ভিত্তি করে সবাই একমত হবো- এই চিন্তা করে তো আর নির্বাচনকে পিছিয়ে নিতে পারেন না, বা একটা ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন না।