রহস্যে ঘেরা অন্তর্র্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সরকারি বাসভবনে পাওয়া ‘ড্রোন’। গত শনিবার সকাল থেকেই সরকারের শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে এনিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। তবে, কোথা থেকে কীভাবে এই ড্রোনটি এলো, কারা পাঠিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-এর সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম ড্রোনটি উদ্ধার করে তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, আইন উপদেষ্টার বাসভবনের চারপাশে বাড়তি নজরদারি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী ড্রোন উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, এটি (ড্রোন) এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বিকালে ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়টির তদন্ত চলছে। এর আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ড্রোনটির গায়ে ‘মেইড ইন চায়না’ লেখা রয়েছে এবং এর টেকঅফ ওজন ২৪৯ গ্রাম। ড্রোনটিতে কোনো মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তার কারণে ব্যাটারিও আলাদা অবস্থায় ছিল। বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৫টা ২৯ মিনিটে ড্রোনটি অবতরণ করে। তবে অন্যান্য ক্যামেরার ফুটেজে ড্রোনটির উড্ডয়ন বা উড্ডয়ন-পরবর্তী কোনো গতিবিধি ধরা পড়েনি। বর্তমানে ড্রোনটি সিটিটিসির ফরেনসিক ল্যাবে বিশ্লেষণের জন্য রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ড্রোনটি কোন পথে এসেছে তা নিশ্চিত হতে আশপাশের এলাকার সুউচ্চ ভবনগুলোর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। জানা গেছে, বাসভবনের মূল ভবনের পশ্চিম পাশে শনিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাগানের একটি আমগাছের নিচে ঘাসের ওপর পড়ে থাকা ড্রোনটি প্রথম দেখতে পান বাসভবনের মালি সালমা হক। পরে তিনি তা আইন উপদেষ্টার পার্সোনাল অফিসার দেলোয়ার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রোনটি উদ্ধার করে।