খেলা শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গেলেন সবাই। তাদের সঙ্গী হলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরাও। সেখানে দেখা গেল বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিনকেও। একটু পরই জানা গেল এই আয়োজন ডেভিড বুনের জন্য।
খেলেয়াড়ি জীবনে তার পরিচিতি ছিল ‘তাসমানিয়ান টাইগার’ নামে। তাসমানিয়ার প্রিয় সন্তান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন প্রায় এক যুগ। ছিলেন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ। গত প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান টেস্ট দিয়ে যে পথচলা শুরু হয়েছিল তার, সেটিই থেমে যাচ্ছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট দিয়ে। আইসিসি এলিট প্যানেলের অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারির বিদায়ী টেস্টে ছিল ছোট্ট একটি আয়োজন। তার হাতে আইসিসির পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত আন্তজার্তিক ক্যারিয়ারে ১০৭ টেস্ট ও ১৮১ ওয়ানডে খেলেন বুন। টেস্টে ২১ সেঞ্চুরি ও ৩২ ফিফটিতে তার রান প্রায় সাড়ে সাত হাজার, ওয়ানডেতে রান ৫ সেঞ্চুরি ও ৩৭ ফিফটিতে ৬ হাজারের কাছাকাছি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের নায়কদের একজন ছিলেন তিনি। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪৭ করেছিলেন, ফাইনালে ৭৫ রানে ইনিংস খেলে হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর আরও কয়েক মৌসুম কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন বুন। খেলা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার পর তাসমানিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপনণ বিভাগে কাজ করেছেন। পরে সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন মহাব্যবস্থাপক হিসেবে। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে যোগ দেন। সেই দায়িত্ব পালন করেন ১১ বছর। পরে আইসিসিরি ম্যাচ রেফারি হিসেবে শুরু করেন নতুন ক্যারিয়ার। অবশেষে ৬৪ বছর বয়সে সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি হচ্ছে।
এখনই অবশ্য কর্মজীন থেকে অবসরে যাচ্ছেন না বুন। বরং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সাবেক ব্যাটসম্যানের নতুন পরিচয় হতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ