রাজবাড়ীর বড়পুলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ী সদর থানায় করা একটি মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে জেলার গোয়ালন্দ মোড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
আজ সোমবার রাজবাড়ীর আমলী আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এই দুই আদেশ দেন।
কাজী কেরামত আলীর পক্ষের বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেন, গত ৩১ আগস্ট রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অন্য আরেকটি মামলায় তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সোমবার আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লার দায়ের করা একটি মামলার শুনানির দিন ধার্য্য ছিল। আদালতে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে আমালি আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসহ অন্য আরেকটি মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, রাজবাড়ীর বড়পুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষেণের অভিযোগে সদর থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মিকাইল হোসেন। অন্যদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগের মামলাটি তদন্ত করছেন রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এনায়েত শিকদার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন