দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সাব্বির হোসেন সবুজ (২৫) হত্যা মামলার রহস্য ২৩ দিন পর উন্মোচিত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাজের লোক আব্দুর হামেদ কোঁদাল দিয়ে আঘাত করে সবুজকে হত্যা করেছেন।
নিহত সাব্বির হোসেন সবুজ ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত ইবনে সাউদ সরকারের ছেলে। শনিবার সকাল ১০টায় ফুলবাড়ী থানার চত্বরে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর সবুজ নিখোঁজ হয়। সে ওই দিন নিজের বাড়ি থেকে ব্যাংক যাওয়ার কথা বলে বের হয় কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপর ছোট ভাই সাদেক হাসান সজিব ২৪ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরেরদিন ধান খেতের ডোবা থেকে মাথা বিহীন দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, হামেদ দীর্ঘদিন থেকে সবুজের বাড়িতে কাজ করতেন। ২৩ সেপ্টেম্বর জমির আগাছা পরিষ্কারের সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হামেদ সবুজকে কোঁদাল দিয়ে আঘাত করেন। পরে মরদেহটি ঢেকে রাখা এবং ধান খেতের ডোবার মধ্যে দুটি টুকরা ও নলকুপের পাইপে সবুজের মাথা ফেলে দেওয়া হয়।
রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামেদ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ নিহতের মাথা ও হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া ও কোঁদাল উদ্ধার করেছে।
মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে হত্যার তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিনি/আশফাক