কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগার গুজবে আতঙ্কিত হয়ে এক দম্পতি তাদের কোলে থাকা শিশুসহ ট্রেন থেকে লাফ দেন। এতে মো. হামদান নামের ৮ মাস বয়সী শিশুটির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা-মা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী 'প্রবাল এক্সপ্রেস' ট্রেনটি সাতকানিয়া স্টেশন ছাড়ার পর লোহাগাড়ার রশিদারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনের পেছনের একটি বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই বগিটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কক্সবাজার জেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক (২৫), তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২০) এবং তাদের ৮ মাসের শিশু হামদানকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং রাজ্জাক ও লিজা বুকে ও পিঠে গুরুতর আঘাত পান।
তারা বাঁশখালীর গুণাগরী হাছিয়ারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং সাতকানিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে কক্সবাজার ফিরছিলেন।
নিহত শিশুর বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ট্রেনে আগুন লেগেছে শুনে আতঙ্কে আমরা লাফ দিই।”
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিমুল দত্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। আহত দম্পতিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়ার সহকারী স্টেশন মাস্টার দিদার হোসেন বলেন, “ইঞ্জিনের পেছনের 'ঢ-বগি'-তে শর্টসার্কিট হয়ে ধোঁয়া হয়েছিল, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তেমন কিছু হয়নি, সবাই নিরাপদে কক্সবাজার পৌঁছেছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক