টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাটি লুটেরাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার উপজেলার গোড়াই খামারপাড়া ও ফতেপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম।
এদিকে ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত গত সাড়ে চার মাসে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে উপজেলায় ৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭৪টি মামলায় ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান। মাটি লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার পৌর এলাকা, মহেড়া, জামুর্কী, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শী, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর, বাঁশতৈল, লতিফপুর ও ভাওড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে তিন ফসলি জমি, নদীতীর ও পাহাড়ি এলাকার লাল মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে বোঝাই করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে লুটেরা চক্র। এতে পরিবেশের বিপর্যয়ের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব চক্রের বিরুদ্ধে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনে ও রাতে অভিযান শুরু করেন ইউএনও এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান।
জানা গেছে, গত শুক্র, শনি, রবি, সোম ও মঙ্গলবার উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বংশাই নদীর চাঁনপুর, গোড়াই ইউনিয়নের মৈশালপাড়া, মীর দেওহাটা, পৌর এলাকার গাড়াইল ত্রিমোহন, জামুর্কী ইউনিয়নের গুনটিয়া ও চুকুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটি ভর্তি অন্তত ৩৫টি ড্রাম ট্রাক আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি লুটেরাদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গত সাড়ে চার মাসে ৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭৪টি মামলায় মোট ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে মির্জাপুর থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম জানান, মাটি লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক