প্রতি বছরই দেশে কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আসে শরীয়তপুরের কার্ত্তিকপুরের মৃৎশিল্পীদের হাত ধরে। কাদা মাটি আর শিল্পীর হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় ফুলের টব, খেলনা, নাইট ক্যান্ডেলসহ বিভিন্ন শোপিস তৈরি হচ্ছে শরীয়তপুরের কার্ত্তিকপুরে। দেশের গন্ডি পেড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে এখানকার তৈরি পণ্যসামগ্রী। দেশ-বিদেশের ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী নতুন সব ডিজাইনের পণ্য তৈরি করছেন শিল্পীরা।
সঠিক প্রশিক্ষণ আর পৃষ্টপোশকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতার কারণে লোকসানের বোঝা বাড়ছে মৃৎশিল্পীদের। ১০ বছর আগেও এ পেশায় ছিল এ অঞ্চলের ৭-৮ হাজার মানুষ। ক্রমাগত লোকসানের মুখে পেশা ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বংশ পরাম্পরায় বাপ-দাদার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে বানিয়ে যাচ্ছেন মাটির পণ্য। বর্তমানে কার্ত্তিকপুরে ৮০০ মানুষ সম্পৃক্ত রয়েছেন এ পেশায়। জহুর লাল পাল, মালিক, আরকেপি মৃৎশিল্প বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করায় লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। সরাসরি দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে শিল্পটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। মৃৎশিল্প রক্ষায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি শিল্পী ও কারিগরদের আধুনিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি করেন সুশীল সমাজ।