শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’

ব্যালেন্স অব পাওয়ার বা ক্ষমতার ভারসাম্য-এর পাশাপাশি ব্যালেন্স অব টেরর বা সন্ত্রাসের ভারসাম্য একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিভাষা। অনেকের কাছে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য যে সন্ত্রাসের ভারসাম্যই বর্তমানে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এ ভারসাম্য থাকা চরম শত্রুভাবাপন্ন দুটি দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে যখনতখন যুদ্ধ শুরুর হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও এবং সীমিত সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও শেষ পর্যন্ত সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে যায় না। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাসের এ ভারসাম্য আছে বলেই গত সপ্তাহে উভয় দেশের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ মাত্র চার দিন স্থায়ী হয়েছে এবং সীমিত ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রচলিত ধাঁচের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৯৪৭-৪৮ সালে, এবং এরপর ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে। প্রথম দুটি যুদ্ধের ফলাফল অমীমাংসিত, কিন্তু তৃতীয় যুদ্ধ অর্থাৎ ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় ছিল চূড়ান্ত। সেই যুদ্ধে পাকিস্তান ৫৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা হারায় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে মুসলমানদের পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে ভারত পাকিস্তানের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারেনি। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভারতের উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদীরা পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশকে পুনরায় অখণ্ড ভারতে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, সেই উদ্দেশ্যে প্রচার-প্রচারণা চালায় এবং একই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। তারা মুসলমানদের একাংশকে বলে বহিরাগত এবং আরেক অংশকে বলে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত। উগ্র জাতীয়তাবাদীরা ভারতের মুসলমানদের পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরে যাওয়ার জন্য তারা ঘর ওয়াপসি বা আপন ধর্মে ফিরিয়ে নেওয়ার মতো কর্মসূচিও চালু করেছে। তাদের উগ্রতায় ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের যে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে এবং যে মর্যাদাহীন অবস্থায় তাদের কাটাতে হচ্ছে, কোনো স্বাধীন দেশের নাগরিকদের এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়ার কথা নয়। ভারত ভাঙার সব দায়ভার ভারতীয় মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে তাদের মানবেতর অবস্থায় কাটাতে বাধ্য করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেওয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা না থাকলে ভারতের উগ্রপন্থিরা অখণ্ড ভারত থেকে খসে পড়া ভূখণ্ডগুলোর মানচিত্র বিলীন করে ফেলত।

আয়তনের দিক থেকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে চার গুণ বড় এবং পৃথিবীর বড় আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান অষ্টম। ভারতের জনসংখ্যা পাকিস্তানের জনসংখ্যার চেয়ে পাঁচ গুণের চেয়েও বেশি। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর জনবল পাকিস্তানের সামরিক জনবলের চেয়ে তিন গুণ বেশি। দুই দেশের সব সূচকের মধ্যে এ ভারসাম্যহীনতার বিশ্লেষণে যেকোনো কনভেনশনাল ওয়ার বা প্রচলিত ধাঁচের যুদ্ধে ভারতের পক্ষে পাকিস্তানকে গিলে ফেলা কোনো ব্যাপারই নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগের যে দীর্ঘ ফিরিস্তি, তাতে যুদ্ধে পাকিস্তানকে নাস্তনাবুদ করে ফেলার কথা। কিন্তু ভারত যে তা করে না বা পারে না তার একটাই কারণ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ব্যালেন্স অব টেরর। এ টেরর বা সন্ত্রাসে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ভীতিই অধিক। ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধে দুই বিবদমান দেশের মধ্যে এ ভারসাম্য ছিল না। প্রচলিত যুদ্ধকৌশল প্রয়োগের মধ্যেই উভয় দেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কিন্তু এখন ভারত ও পাকিস্তান দুটিই পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দেশ এবং এটিই তাদের বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বড় বাধা।

‘ব্যালেন্স অব পাওয়ার’ বা ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’-এর পাশাপাশি ‘ব্যালেন্স অব টেরর’ বা ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্যকেবল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই যে সন্ত্রাসের ভারসাম্য বজায় রয়েছে তা নয়, ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের আণবিক বোমা ফেলার ভয়াবহতায় জাপানের আত্মসমর্পণ এবং তার দুই মিত্র জার্মানি ও ইতালির পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান সূচিত হওয়ার পর বিগত ৮০ বছরে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক সময় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও তা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার পরিবর্তে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। তারা বিশ্বজুড়ে নিজ নিজ সমর্থন বলয় গড়ে তুলে মোটামুটি নিরুপদ্রব শান্তির আবহ বজায় রেখেছে। বিশ্ব সুস্পষ্টভাবে সোভিয়েত পক্ষ ও আমেরিকান পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হলেও বিগত আট দশকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।

ভারত ও পাকিস্তানের চিত্র ভিন্ন। পাকিস্তানকে সৃষ্টির পর থেকেই ভারতের অব্যাহত হুমকির মধ্যে কাটাতে হয়েছে এবং এখনো এই চিত্রের পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে বোধগম্য কারণেই পাকিস্তানকে তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ভারত তাদের আধিপত্য ও সম্প্রসারণবাদী নীতির কারণে প্রায় প্রতিটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে তাদের শত্রুতে পরিণত করেছে। আয়তন ও শক্তির দিক থেকে চীন ভারতের বড় শত্রু, যে দেশের সঙ্গে ১৯৬২ সালে গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাধানোর বড় খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে। দ্বিতীয় প্রধান শত্রু পাকিস্তান। মূলত এ দুটি দেশকে বিবেচনায় রেখে ভারত তাদের সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ ও আধুনিকায়ন করে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতে সামরিক বাজেটের পরিমাণ ৮১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাকিস্তানের সামরিক খাতে বাজেটের পরিমাণ ৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ। সামরিক খাতে ব্যয়ের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পরই ভারতের অবস্থান। আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গত সপ্তাহের চার দিনের সীমিত যুদ্ধে পাকিস্তান প্রযুক্তি ও কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে। ফলে পাকিস্তানকে এ দুটি দিকে টেক্কা দিতে হলে ভারতকে অনুরূপ সামর্থ্য অর্জনের জন্য সামরিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

পাকিস্তানের সঙ্গে স্থায়ী সংঘাতপূর্ণ অবস্থা কাটাতে ভারতকেই উদ্যোগী হতে হবে। যদিও ভারতের যেকোনো দলের সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাস্তবতাকে অস্বীকার করে তারা তাদের দেশের যে কোনো স্থানে সংঘটিত সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কাজের জন্য দায়ী করে পাকিস্তানকে এবং তাদের প্রতিটি সরকারি ভাষ্যে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর মদতপুষ্ট বলে দায়ী করে। তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের সংগঠনগুলো যারা প্রকাশ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের, ভারত ও পাকিস্তানের অংশে তাদের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়, হোয়াইট হাউসে গিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করে। কিন্তু কাশ্মীরে নাশকতামূলক কোনো ঘটনা ঘটলেই ভারত আঙুল তুলে পাকিস্তানের দিকে। ভারত সরকার কাশ্মীরিদের ব্যাপারে ১৯৪৭ সাল থেকে ধূর্ততা ও প্রতারণামূলক নীতি গ্রহণ করে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে, কিন্তু কাশ্মীরসহ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম দমন করতে হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছে। এসব বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশের হাজার হাজার সদস্য নিহত হয়েছেন।

ভারতের ভূমিকায় মনে হয়, বাইরের কোনো দেশ বা শক্তির সহযোগিতা ছাড়া ভারতে কোনো সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব ছিল না ও নেই। তদুপরি মুসলিম ছাড়া ভারতে কেউ সন্ত্রাসী হতে পারে না। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে মুসলিম ছিলেন না। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর  প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হত্যা করেছিল তাঁর দুই শিখ দেহরক্ষী বিয়ান্ত সিং ও সতওয়ান্ত সিং। তারা মুসলিম ছিলেন না। ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুতে প্রকাশ্য জনসমাবেশে আত্মঘাতী বোমায় নিহত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং ঘাতকসহ ১৭ ব্যক্তি। যিনি এ আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান তার নাম কালাবানি রাজারতনাম নামে ২২ বছর বয়সি তরুণী। তিনিও মুসলিম ছিলেন না।    

ভারতের অন্যতম পুরোনো সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে উঠেছিল চীনাপন্থি মাওবাদী কমিউনিস্ট নেতা চারু মজুমদারের নেতৃত্বে ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি নামে এক গ্রামে। তাঁর শুরু করা আন্দোলন এখন পর্যন্ত দমন করা সম্ভব হয়নি। এ সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বিভিন্ন সময়ে তাত্ত্বিক জটিলতায় আন্তঃসংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও এখনো পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, উত্তরাখন্ড, ছত্তিশগড়, বিহার, অন্ধ্র প্রদেশসহ আরও কয়েকটি রাজ্যের ৮০টির বেশি জেলায় শ্রেণিসংগ্রামের নামে মাওবাদী-নকশালীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নকশালীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজার ৫২০টি সংঘর্ষ ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে ৪ হাজার ৪৮ জন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে ২ হাজার ৯১ জন এবং চিহ্নিত মাওবাদী-নকশালী নিহত হয়েছে ৪ হাজার ৬১৪ জন। শনাক্ত করা যায়নি এমন লোক নিহত হয়েছে ২৫২ জন। আলজাজিরা টেলিভিশনের এক রিপোর্টে এ সশস্ত্র বিদ্রোহে ১৯৮০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে আনুমানিক ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময় মাওবাদী বিদ্রোহ দমনে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল অপারেশন গ্রিন হান্ট অভিযান পরিচালনায়। তাঁর মতে, এই বিদ্রোহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রতি একক বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ।   

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শিখ সম্প্রদায়ের ভারতীয় পাঞ্জাবে শিখদের স্বাধীন খালিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ত্রিশের দশকে এবং সত্তর ও আশির দশকে খালিস্তান আন্দোলন প্রবল হয়ে ওঠে। বেশ কিছু সংগঠন গড়ে ওঠে এ আন্দোলনকে সশস্ত্র বিদ্রোহের রূপ দেওয়ার জন্য। আশি দশকের শুরুতে জর্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে নামে এক তরুণ শিখ নেতার অভ্যুদয়ের পর পাঞ্জাবজুড়ে খালিস্তানবিরোধী বিবেচনায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। শুধু ১৯৮৪ সালের ছয় মাসে পাঞ্জাবে ৭৭৫টি সহিংস ঘটনায় ৪১০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ১৬৫ জন ছিলেন হিন্দু। আহত হয় ১ হাজার ১৮০ জন। ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে শিখ বিদ্রোহীদের নির্মূল করতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরে শিখ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু স্টার নামে সামরিক অভিযান পরিচালনার আদেশ দেন। ১ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযানে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়। সরকারি হিসাবে এ অভিযানে ৭০০-এর বেশি ভারতীয় সৈন্য, ৪৯৩ জন শিখ বিদ্রোহী এবং ১ হাজার ৫৯২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়। বেসরকারি হিসাবে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের অধিক এবং শিখ জঙ্গি নিহত হয়েছিল ২০০ জন। এ ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হন এবং এর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে কেবল দিল্লিতেই ৩ হাজারের বেশি শিখকে হত্যা করা হয়।

কিন্তু শিখদের বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা স্বাধীনতার আন্দোলন বা স্বর্ণমন্দির ধ্বংস ও দিল্লিতে শিখ হত্যাযজ্ঞের পরিণতিতে ১৯৮৫ সালে বাব্বর খালসা নামে শিখদের এক বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের সন্দেহভাজন সদস্যরা ১৯৮৫ সালের ২৩ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার মন্ট্রিল-লন্ডন-দিল্লি-বোম্বে রুটের একটি বিমান উড়িয়ে দেওয়ায় ৩২৯ জন যাত্রী নিহত হয়। খালিস্তানি বিদ্রোহীদের নাশকতামূলক তৎপরতায় ১৯৮৭ সালে লালরু নামে এক স্থানে ৩২ জন হিন্দু বাসযাত্রী এবং ১৯৯১ সালে লুধিয়ানায় ৮০ জন ট্রেনযাত্রী নিহত হয়। ১৯৯১ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের অক্টোবর মাসের এক সংখ্যায় প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, শিখ জঙ্গিরা দৈনিক অন্তত ২০ জন করে লোককে হত্যা করছে এবং পুলিশ অফিসারদের পরিবারের সদস্যদের গুলি করছে। ১৯৯৫ সালের ৩১ আগস্ট বাব্বর খালসার এক সদস্য আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ান্ত সিংকে হত্যা করেন।

ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে আসামে, সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। ১৯৭৯ সালে শুরু হওয়া ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করার পর থেকে ২০২৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উলফা বিদ্রোহীদের হাতে বিভিন্ন বাহিনীর ৭০০ অধিক সদস্য নিহত হয়েছে। উলফা বিদ্রোহীদের সাড়ে চার হাজার সদস্যসহ ১০ হাজারের অধিক লোক নিহত হয়েছে। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজারের বেশি এবং অপহৃতদের অধিকাংশের মৃত্যু ঘটেছে গুলিতে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে মণিপুরে দুই বিবদমান উপজাতির সংঘর্ষ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫৮ জন নিহত হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে ৬০ হাজারের অধিক মণিপুরবাসী।

যদি ধরেও নেওয়া যায় যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ অথবা একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী, স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোই ভারতের জন্য বেশি ক্ষতিকর। যেসব অভ্যন্তরীণ গ্রুপ ইতোমধ্যে সক্রিয়, তাদের উপদলীয় কোন্দলে অনুরূপ আরও গ্রুপ সৃষ্টি হতে পারে। শোষিত, বঞ্চিত, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিগুলোর মধ্য থেকে নতুন নতুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের আবির্ভাব ঘটতে পারে। বিশ্বে শুধু ভারতই সন্ত্রাসকবলিত একমাত্র দেশ নয়। পাকিস্তান যেসব দেশের প্রতিবেশী নয়, এমন বহু দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলে। ভারতের প্রতিবেশী ও শত্রু দেশ পাকিস্তানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন সৃষ্টির পটভূমি ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের জানা থাকার কথা। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীকে বিতাড়নে পাকিস্তানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৈরিতে উৎসাহ দান থেকে শুরু করে অস্ত্র-অর্থ সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের বেশ কটি দেশ।

২০০১ সালে নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৃষ্ট আল-কায়েদার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করলে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে পরিণত হয় পাকিস্তান। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পাকিস্তানে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে  তাদের বহু যুগ লেগে যাবে। ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়েও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতের মতো শক্তিশালী বৈরী প্রতিবেশীকে মোকাবিলা করার যে সাহস প্রদর্শন করে, এর একমাত্র কারণ, তারা জানে ভারতের সঙ্গে তাদের সন্ত্রাসের ভারসাম্য আছে বলেই ভারত শত হম্বিতম্বি করেও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারবে না, বরং সন্ত্রাসের ভারসাম্য দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখবে।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
বিনিয়োগে শ্লথগতি
বিনিয়োগে শ্লথগতি
খুলে পড়ল বিমানের চাকা
খুলে পড়ল বিমানের চাকা
জুলুমের পরিণাম ভয়াবহ
জুলুমের পরিণাম ভয়াবহ
মানবপ্রেমিক হজরত শাহজালাল (রহ.)
মানবপ্রেমিক হজরত শাহজালাল (রহ.)
‘পুরানো সেই দিনের কথা’
‘পুরানো সেই দিনের কথা’
ইস্তাম্বুল শান্তি আলোচনা
ইস্তাম্বুল শান্তি আলোচনা
বাড়তি শুল্কের বোঝা
বাড়তি শুল্কের বোঝা
অপরিপক্ব বিষযুক্ত ফল নয়
অপরিপক্ব বিষযুক্ত ফল নয়
দোয়ায় যে কারণে কাজ হয় না
দোয়ায় যে কারণে কাজ হয় না
সাদ্দাম হোসেনের মিষ্টি আঙুর
সাদ্দাম হোসেনের মিষ্টি আঙুর
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
চিকিৎসা ব্যয়
চিকিৎসা ব্যয়
সর্বশেষ খবর
পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ
পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ

৮ মিনিট আগে | বাণিজ্য

ছাত্রদলকর্মী হত্যায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্রদলকর্মী হত্যায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

হজযাত্রীদের সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ সৌদি আরবের
হজযাত্রীদের সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ সৌদি আরবের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাস্তি না হওয়ায় বেপরোয়া লুণ্ঠন
শাস্তি না হওয়ায় বেপরোয়া লুণ্ঠন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পাহাড় খুঁড়ে মিলল ডাকাতির টাকা, গ্রেফতার ৮
পাহাড় খুঁড়ে মিলল ডাকাতির টাকা, গ্রেফতার ৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঈদ পুনর্মিলনীতে বেলজিয়াম যেন এক টুকরো বাংলাদেশ
ঈদ পুনর্মিলনীতে বেলজিয়াম যেন এক টুকরো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নেত্রকোনায় ট্রেন বিভ্রাট: ইঞ্জিন চলে গেল, বগি পড়ে রইল লাইনে!
নেত্রকোনায় ট্রেন বিভ্রাট: ইঞ্জিন চলে গেল, বগি পড়ে রইল লাইনে!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘তাণ্ডব’-এ শাকিব খানের রাফ লুক, রহস্যে ঘেরা নতুন পোস্টার
‘তাণ্ডব’-এ শাকিব খানের রাফ লুক, রহস্যে ঘেরা নতুন পোস্টার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ এড়িয়ে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিল ভারত
বাংলাদেশ এড়িয়ে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমনের ব্যাটে শতরান, পেসে ছিন্নভিন্ন আমিরাত
ইমনের ব্যাটে শতরান, পেসে ছিন্নভিন্ন আমিরাত

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেরাদিয়ায় হাট বসাতে দেওয়া হবে না
মেরাদিয়ায় হাট বসাতে দেওয়া হবে না

৩ ঘণ্টা আগে | হাটের খবর

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

কোরবানির হাট কাঁপাবে ৪০ মণ ওজনের সম্রাট
কোরবানির হাট কাঁপাবে ৪০ মণ ওজনের সম্রাট

৩ ঘণ্টা আগে | হাটের খবর

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে প্লে-অফ স্বপ্ন ভেসে গেল কলকাতার
বৃষ্টিতে প্লে-অফ স্বপ্ন ভেসে গেল কলকাতার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইসিসিবিতে শিক্ষামেলায় ব্যাপক সাড়া
আইসিসিবিতে শিক্ষামেলায় ব্যাপক সাড়া

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বেনাপোলে ৫ মণ ভায়াগ্রা পাউডার জব্দ
বেনাপোলে ৫ মণ ভায়াগ্রা পাউডার জব্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বায়ার্নের গোল উৎসবে মৌসুম শেষ, কেইনের রেকর্ড
বায়ার্নের গোল উৎসবে মৌসুম শেষ, কেইনের রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: সিনেট থেকে হাতকড়া পরিয়ে বের করে দেওয়া হল প্রবীণ অধিকারকর্মীকে
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: সিনেট থেকে হাতকড়া পরিয়ে বের করে দেওয়া হল প্রবীণ অধিকারকর্মীকে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে হামলা নিয়ে বিভক্ত ভারতের রাজনীতি
পাকিস্তানে হামলা নিয়ে বিভক্ত ভারতের রাজনীতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইবার নিরাপত্তা প্রদান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব
সাইবার নিরাপত্তা প্রদান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান : তারেক রহমান
সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান : তারেক রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন : নবীউল্লাহ নবী
গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন : নবীউল্লাহ নবী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’
‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কিশোরগঞ্জ ফোরাম, ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভা
কিশোরগঞ্জ ফোরাম, ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইমনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
ইমনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা
সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে আইন সহায়তা ক্যাম্পেইন ও জিকা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে আইন সহায়তা ক্যাম্পেইন ও জিকা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়ল সোনার দাম
বাড়ল সোনার দাম

৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

সর্বাধিক পঠিত
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার
১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ওপর সামরিক মহড়া দিল ভারত
এবার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ওপর সামরিক মহড়া দিল ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মসমর্পণের পর স্ত্রীসহ কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
আত্মসমর্পণের পর স্ত্রীসহ কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক যুবলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক যুবলীগ নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ গ্রেফতার
সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার
স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই যুবক গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজার রসাতলে বিনিয়োগ তলানিতে
পুঁজিবাজার রসাতলে বিনিয়োগ তলানিতে

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে কেবল ট্রেলার দেখানো হয়েছে, রাজনাথের হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানকে কেবল ট্রেলার দেখানো হয়েছে, রাজনাথের হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রায়ে অসন্তুষ্ট আছিয়ার মা
রায়ে অসন্তুষ্ট আছিয়ার মা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শপথ ইস্যুতে যা বললেন ইশরাক
শপথ ইস্যুতে যা বললেন ইশরাক

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় হ্যাকারের বাড়িতে অভিযান, বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ
গাইবান্ধায় হ্যাকারের বাড়িতে অভিযান, বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ খোলা থাকবে সরকারি অফিস
আজ খোলা থাকবে সরকারি অফিস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের আট দিনের মাথায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
বিয়ের আট দিনের মাথায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিএসএলে যোগ দিলেন সাকিব
পিএসএলে যোগ দিলেন সাকিব

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফ্রিকায় বন্ধু খুঁজছে মধ্যপ্রাচ্যে ‘নিঃসঙ্গ’ ইরান
আফ্রিকায় বন্ধু খুঁজছে মধ্যপ্রাচ্যে ‘নিঃসঙ্গ’ ইরান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি
আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানের কাছে স্পর্শকাতর তথ্যপাচারের অভিযোগে ভারতে শিক্ষার্থী গ্রেফতার
পাকিস্তানের কাছে স্পর্শকাতর তথ্যপাচারের অভিযোগে ভারতে শিক্ষার্থী গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরি নির্দেশনা মাউশির
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরি নির্দেশনা মাউশির

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের পরও একাধিক নারীর সঙ্গে অনলাইন ডেট করতেন অভিজিৎ
বিয়ের পরও একাধিক নারীর সঙ্গে অনলাইন ডেট করতেন অভিজিৎ

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯ বছর পর আবারও একসঙ্গে শাহরুখ-রানি!
১৯ বছর পর আবারও একসঙ্গে শাহরুখ-রানি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন আমীর খসরু
কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন আমীর খসরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিয়ের রাতে স্বামীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালালেন নববধূ
বিয়ের রাতে স্বামীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালালেন নববধূ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা
ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০০ করে বন্দি বিনিময়ে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন
১০০০ করে বন্দি বিনিময়ে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব‌কেয়া বেতনের দাবি‌তে টঙ্গী‌তে মহাসড়ক অ‌বরোধ
ব‌কেয়া বেতনের দাবি‌তে টঙ্গী‌তে মহাসড়ক অ‌বরোধ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইশরাক
সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইশরাক

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রবিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে আন্দোলনে যাবে সাত কলেজ
রবিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে আন্দোলনে যাবে সাত কলেজ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
নগর ভবনে তালা, অবাঞ্ছিত ঘোষণা উপদেষ্টাকে
নগর ভবনে তালা, অবাঞ্ছিত ঘোষণা উপদেষ্টাকে

প্রথম পৃষ্ঠা

তলানিতে শেয়ারবাজার
তলানিতে শেয়ারবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইতিহাসের পাতায় আলফাজ
ইতিহাসের পাতায় আলফাজ

মাঠে ময়দানে

অসময়ে তিস্তার রুদ্রমূর্তি
অসময়ে তিস্তার রুদ্রমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির টার্গেট তরুণরা
বিএনপির টার্গেট তরুণরা

নগর জীবন

খুলনায় সমাবেশে তারুণ্যের ঢল
খুলনায় সমাবেশে তারুণ্যের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

সবার এত প্রশংসা পুরো ক্যারিয়ারে পাইনি
সবার এত প্রশংসা পুরো ক্যারিয়ারে পাইনি

শোবিজ

ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক স্থাপনে গুরুত্বারোপ
ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক স্থাপনে গুরুত্বারোপ

পেছনের পৃষ্ঠা

পিএসএলে আজ মাঠে ফিরবেন সাকিব
পিএসএলে আজ মাঠে ফিরবেন সাকিব

মাঠে ময়দানে

দিনদিন বাড়ছে অসন্তোষ
দিনদিন বাড়ছে অসন্তোষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কান কথা
কান কথা

শোবিজ

হামজাদের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম
হামজাদের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম

মাঠে ময়দানে

বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন যারা
বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন যারা

প্রথম পৃষ্ঠা

রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প
রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্রিকেটারদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে বিসিবি
ক্রিকেটারদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

শারাপোভা প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন ২০০৪ সালে
শারাপোভা প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন ২০০৪ সালে

মাঠে ময়দানে

একঝাঁক তারকার ‘কিং’
একঝাঁক তারকার ‘কিং’

শোবিজ

বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল আজ
বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল আজ

মাঠে ময়দানে

হেরেই গেল ‘এ’ দল
হেরেই গেল ‘এ’ দল

মাঠে ময়দানে

সিনেমা কেন মার খায়
সিনেমা কেন মার খায়

শোবিজ

ঈদে আসছে ‘নাদান’
ঈদে আসছে ‘নাদান’

শোবিজ

পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা
পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা

রকমারি

ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’
ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’

সম্পাদকীয়

জাতি জানতে চায় ইসি কখন তফসিল ঘোষণা করবে
জাতি জানতে চায় ইসি কখন তফসিল ঘোষণা করবে

নগর জীবন

সেনানিবাসসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ
সেনানিবাসসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

পুশইনে বড় আশঙ্কা
পুশইনে বড় আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি বা ওয়াশিংটনের গোলামি নয়
দিল্লি বা ওয়াশিংটনের গোলামি নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

‘পুরানো সেই দিনের কথা’
‘পুরানো সেই দিনের কথা’

সম্পাদকীয়