ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জিতলেও পরের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ম্যাচশূন্য এই স্টেডিয়াম। হোম ভেন্যু হিসেবে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা হয় বাংলাদেশের হোম ভেন্যু। এই মাঠে আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, লেবানন, ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোর মুখোমুখি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুরের। এর আগে ভুটানের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। ২০২৩ সালে সংস্কার কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বারবার তা পিছিয়েছে। সংস্কার কাজের সময় বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যয়ও। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ হয়েছে সংস্কার কাজ। নতুন রূপে গড়ে উঠেছে স্টেডিয়াম। ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখা যাবে খেলা। সাইডলাইনেও থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন। সেখানে চলবে বিজ্ঞাপন। মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নততর করা হয়েছে। আগে বৃষ্টি হলেই এই স্টেডিয়ামের মাঠ ডোবায় পরিণত হতো। আন্তর্জাতিক মানের প্রেসবক্সের পাশাপাশি বদলে গেছে গ্যালারির আসন। নতুন ফ্লাডলাইডের আলোয় আলোকিত হবে স্টেডিয়াম।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মো. আজমুল হক জানান, স্টেডিয়ামের কাজ প্রায় শেষ। দিন কয়েকের মধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হাতে তুলে দেওয়া হবে স্টেডিয়ামটি। এরপর আগামী ১০ জুনের ম্যাচ সামনে রেখে ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে হাত দেবে বাফুফে। হামজা-সামিত সোমদের জন্য নতুন এক স্টেডিয়ামই উপহার দিচ্ছে ক্রীড়া পরিষদ।