ভোটার নয় এমন ছাত্রদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচনি কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত করা এবং খোলা মাঠে ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাকিদের এ কথা বলেন দলের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। দ্বৈত নাগরিকদের নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়াসহ বৈঠকে ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে দলটি। বৈঠক শেষে মুজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ইসিকে বলেছি ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার না হোন। কী কীভাবে কারচুপি হয় তা আমরা তুলে ধরেছি। এ জন্য কঠোর হতে বলেছি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি ভোট কেন্দ্র মাঠে না করে উন্মুক্ত স্থানে করা যায় কি না। খোলামেলা থাকলে ভোট চুরি হবে না। খোলা মাঠে হলে সাংবাদিকসহ অন্যদের মনিটরিং সহজ হবে। আর আমরা মনে করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যা আছে পুলিশ, আনসারসহ অন্যরা তা মোকাবিলা নাও করতে পারেন। এ জন্য প্রস্তাব করেছি স্কুল ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত করার। পুলিশ, আর্মির পাশাপাশি যারা ভোটার না, যারা গণ অভ্যুত্থানেও ভূমিকা রেখেছেন ছাত্রীসহ তাদের কথা বলেছি।
সিইসি এপ্রিসিয়েট করেছেন। তিনি বলেছেন খুবই ভালো আইডিয়া। ভোটের দায়িত্বে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের পরও আমরা দেখেছি কিশোরদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। আমরা বলেছি পাইলট করে এক্সিকিউট করতে। ভোট নিয়ে সংশয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের প্রধান বলেছেন ভোট হবে। সিইসি বলেছেন ভোট হবে। দলগুলোর অনেকে বলছে ভোট হবে; এখন যারা বলছে ভোট হবে না, তাদের কনসার্ন একটু গুরুত্বপূর্ণ। যারা ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তাদের কনসার্ন পূরণ করেই ভোট এ সময়ে করা সম্ভব।
নির্বাচনি ব্যয় কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীর ২৫ লাখ টাকা নির্বাচনি ব্যয় করা যায়। আমরা বলেছি কাটছাঁট করার জন্য। পোস্টার নিষিদ্ধ করে ইসি নিজেই সব প্রার্থীর জন্য পোস্টার ছাপাতে পারে কি না। যত্রতত্র পোস্টার না রাখলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, ব্যয়ও কমবে। এ ছাড়া ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে আনা, পোলিং এজেন্টদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রার্থীরা ব্যয় করেন। এগুলোর ব্যবস্থা যদি ইসি করে, প্রার্থীর খরচ কমে যাবে।
দ্বৈত নাগরিকদের নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থার কথা বলেছি। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা যেন প্রার্থী হতে পারে সে দাবি করেছি। কেননা, দ্বৈত নাগরিকরা বিচারক হচ্ছেন। আমাদের উপদেষ্টা পরিষদেও আছেন। তিনি বলেন, আমরা একটা পার্লামেন্টই কার্যকর করতে পারিনি। তাই পার্লামেন্টের ২টা হাউসের বিরোধিতা করেছি। এখন যেহেতু সবাই বলছে, তাই আমরা মত দিয়েছি। তবে আমরা আপার হাউসে পিআর চেয়েছি। এটা না হলে ২টা হাউসের প্রস্তাবটার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেব। এ ছাড়া পাশাপাশি আমরা ২০০ আসনে বর্তমান পদ্ধতি বাকি ১০০ আসনে পিআর হতে পারে এমন বলেছি। এ ছাড়াও বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।