সাত বছর আগে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।
গতকাল সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। রায়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। আমরা প্রত্যাশা করছি শিগগিরই পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হবেন এবং তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী তাদের বাড়ির পাশের খেতে সবজি আনতে যায়। সবজি নিয়ে ফেরার পথে আসামি জিয়াউর রহমান সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ভিকটিমকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং গলা কেটে হত্যা করে। এরপর খেতের মধ্যে লাশ ফেলে চলে যায়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মামলাটি করেন।
২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।