বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকাম শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইজারার সর্বনিম্ন দর দ্বিগুণ করা এবং টন ও মন প্রতি বাড়তি অর্থ ধার্য্য করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির সিকদার। তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এ মৎস্য মার্কেটটি ইজারা দেয়া হয় পদ্মাবতী ঘাট প্রতি বছর ইজারা দেয়। ২০২৪ সালে ঘাটটি ইজারার সর্ব নিম্ন দর ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ সময় সর্বোচ্চ দরদাতা ১ কোটি ৭৫ টাকায় ঘাটটি পায় একটি প্রতিষ্ঠান। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মণ প্রতি ইলিশ ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অথচ দরপত্রের সাথে দেয়া রেট সিটে উল্লেখ ছিলো টন প্রতি ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। এতে প্রতি মণ ছিলো প্রায় দেড় টাকা। সেখানে ব্যবসায়ীরা ওই আলোচনা না করে মণ প্রতি নিয়ে যাচ্ছে ১০০ টাকা। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালে এ ঘাট ইজারার সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দরপত্র গ্রহণ করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জহির সিকদার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করলে এই ঘাটে টোল বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে কম আসতে শুরু করবে। টোল বেশি হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এই ঘাটে মাছ না এনে অন্য ঘাটে নিতে শুরু করবে। তখন সকল মৎস্য ব্যবসায়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এর ফলে মাছের সংকট হওয়ার পাশাপাশি মাছের দাম অনেক বেড়ে যাবে। যার প্রভাব জনগণের উপরে পড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে মাছের দাম।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের এমন সিন্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ২০২৫ সালে নতুন মনগড়া নিয়ম বন্ধের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে প্রধান কার্যালয়। যাতে বরিশালের কারো হাত নেই। আর ইজারাদারের প্রতিযোগিতার কারণে মূল্য বাড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এএ