স্থানীয় পর্যায় থেকে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানে স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করতে হবে। এটি কার্যকর পদ্ধতি এবং জরুরি। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইমাম, পুরোহিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে সকল সহায়তা প্রদান করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘এসডিজি ডাটা রিপোর্টিং সমন্বয়ের নিমিত্ত জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘এসডিজি স্থানীয়করণ’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মঈনুল ইসলাম পাটোয়ারী, অতিরিক্ত ডিআইজি ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফ উদ্দীন, এবং বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্মপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান।
সভায় বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ এসডিজি স্থানীয়করণ বিষয়ে নিজ নিজ জেলার কার্যক্রম তুলে ধরেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। চবির সমাজকল্যাণ বিষয়ের শিক্ষকগণ তাঁদের বিভাগের পক্ষে গবেষণালব্ধ ডাটা ও সুপারিশসমূহ এসডিজি স্থানীয়করণ ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদান করবেন বলে জানান।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার প্রত্যেকটিতে গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানীয় পর্যায়ে একটি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে চিহ্নিত সমস্যা হলো ‘চট্টগ্রামকে টেকসই ও ঝুঁকিমুক্ত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে পাহাড়সহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী জনসংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা এবং শতভাগ খাল ও জলাশয় দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করা’, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রাপ্ত সমস্যা হলো ‘সম্প্রীতি উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক দ্বন্দ্বে নিহতের সংখ্যা শূন্যে নামানো’।
প্রধান অতিথি আলেয়া আক্তার বলেন, শুধু করণীয় বললে হবে না। বরং পূর্বের ডাটা, বর্তমান অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের কার্যকর ব্যবস্থাপনা সব বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। মূল ফোকাস স্থানীয় পর্যায়ে দিতে হবে, এবং স্থানীয় মানুষকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, এসডিজি স্থানীয়করণে সুফল পেতে চাইলে এর তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক