দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তীর্থোৎসব ঘিরে উৎসবের আমেজ বইছে শেরপুরের নালিতাবাড়িতে। আজ এবং আগামীকাল ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব হবে উপজেলার বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লিতে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে উৎসবের সব প্রস্তুতি, বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পুরো তীর্থস্থান। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ‘আশার তীর্থযাত্রী, ফাতেমা রানী মা মারিয়া’ এই মূলসুরে এবারের তীর্থোৎসব হবে। ধর্মপল্লিটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লিতে প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।
উৎসবের মূল আকর্ষণ হচ্ছে আলোক শোভাযাত্রা। এ ছাড়াও খ্রিস্টযাগ, ব্যক্তিগত প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহাখ্রিস্টযাগসহ নানা অনুষ্ঠান। এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন ভ্যাটিকান অ্যাম্বাসাডর ও পোপের বিশেষ প্রতিনিধি আর্চবিশপ কেভিন রেনডাল। আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ও বারোমারী মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে তীর্থ সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করা হয়েছে। সর্বত্র সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা নিশ্চিত করা হয়েছে এই তীর্থ উৎসবকে ঘিরে।
জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, উৎসব ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত চার স্তর বিশিষ্ট বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।