জাতীয় ঐকমত্য কমিশন স্বাধীনতাবিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে দাবি করেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপির সরলতার সুযোগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। গণভোটের নাটক মঞ্চস্থ করে জামায়াতের পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
গতকাল বিকালে ‘দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি। সম্মেলনটি আমজনতার দলের নতুন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজকে উদ্দেশ করে মো. তারেক বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংবিধান মানেন। কাজ শেষ হলে তারা আর সংবিধান মানেন না। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আলাপকালে আমরা বলেছি, জাতীয় নির্বাচনে অন্তর্বর্তী উপদেষ্টারা প্রার্থী হতে পারবেন না। সেখানে ঐকমত্য কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ আমাকে কথা বলতে দেননি। নির্বাচন নিয়ে যা করছেন, তাতে মনে হয় আপনাদের ওপর ফ্যাসিবাদ ভর করছে এবং আপনারাই সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী উপদেষ্টারা জুলাই গণ অভ্যুত্থানের কেউ নয়। এ সরকারের প্রধান ড. ইউনূস নিজেই তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের উন্নয়নের জন্য এসেছেন। তিনি দেশের স্বার্থ বাস্তবায়ন করছেন না। বিদেশিদের স্বার্থ বাস্তবায়নে ব্যস্ত। ফলে নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা কিংবা যথাসময়ে নির্বাচন না হলে প্রধান উপদেষ্টাকে জেলে ভরা হবে। তাঁকে আমরা পালাতে দেব না।
আমজনতা দলের সদস্যসচিব বলেন, সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে সুবিধা নিতে চেয়েছিল। অথচ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলা রিডিং পড়তে পারেন না, হাসপাতালগুলো ধুঁকে ধুঁকে মরছে, ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ কমেছে এবং চাকরি হারানো ১৮ লাখ নারী কর্মীর বিষয়ে সংস্কার কমিশনের কোনো আলোচনা নেই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে সরকার। এর ওপর তারা গণভোটের নামে জামায়াতের পিয়ার বাস্তবায়ন নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতএব, এই গণভোট সংস্কারের পক্ষে না। এই গণভোটটা জামায়াতের শয়তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পক্ষে।
১৭ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হয়নি জামায়াতের শয়তানির কারণে, দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের এ আন্দোলন-সংগ্রাম সফল হয়নি কেবল জামায়াতের জন্য। তেমনি আগামী নির্বাচনে জামায়াত ক্ষমতায় না এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে তারা।
তারেক বলেন, ভারতবিরোধী আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান। এই আন্দোলনে আমাকে অর্থায়ন করেছিলেন তিনি। তাকে ঠেকাতে জামায়াতের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্ব করেছে।