বোলাররা নিজেদের কাজটা করেছেন দুর্দান্তভাবে। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, সেখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। মামুলি টার্গেটে খেলতে নেমে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটনবাহিনী।
ম্যাচটা হেরে যায় ১৪ রানে। এ হারের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ১৬ রানে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচের পরও স্বাভাবিকভাবেই একই সুর তার কণ্ঠে। তবে এবার বোলারদের প্রতি সহমর্মিতাও জানালেন লিটন দাস।
তিনি বলেন, “গত ২-৩ সিরিজে বোলাররা খুব ভালো করেছে। বোলারদের কাছে আমি সত্যিই সরি। তারা আমাদের জন্য দারুণ পারফর্ম করেছে। কিন্তু আমরা এই রানটা করতে পারিনি।”
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কামব্যাকের দারুণ গল্প লিখেন বোলাররা। এক পর্যায়ে ১১ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে পরের ৯ ওভারে আরও ৮ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। বিপরীতে ক্যারিবিয়ানরা করতে পারে মাত্র ৪৪ রান। তাই ইনিংস বিরতিতে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারেননি ব্যাটাররা। তানজিদ হাসান তামিমের ৬১ ছাড়া আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। ম্যাচ শেষে দায়টা নিজের কাঁধেই নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “দেড়শ রান খুব বেশি নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। বিষয়টা হলো, আমরা একটা শুরু পেলেই আউট হয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে আমি। আমার অন্তত ১২-১৩ ওভার পর্যন্ত খেলতে হতো। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। কারণ আমি যদি ব্যাটিং করতে থাকতাম, ম্যাচটা আগেই শেষ হয়ে যেত।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম