বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতা ১১ দফা আন্দোলন করে আইয়্যুব খানের পতন ঘটিয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমরা শেখ মুজিবকে বলিনি আমাদের সরকারে নাও। কারণ আমরা ছাত্র ছিলাম। ছাত্রের কাজ আন্দোলন সংগ্রাম করা, আমরা সেটাই করেছি। কারণ ছাত্ররাই জীবন দিতে ভয় পায় না। ছাত্ররাই যুগে যুগে যুদ্ধ করে দেশকে রাহুমুক্ত করে মানুষকে নতুন কিছু দিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ রাশিদ্দোজাহা সরকারী মহিলা কলেজে শিক্ষক ও ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্ত ও হাজারো মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধ করে একটি লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই যুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধকে এক সাথে মেলানো যাবে না। ’
তিনি বলেন, ‘চব্বিশকে আমি শ্রদ্ধা করি। ৫ আগস্টকে শ্রদ্ধা করি। সাইদ ও মুগ্ধসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধা করি। কারণ তাদের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ বুক ভরে নি:শ্বাস নিতে পারছে। আমি নিজেও নি:শ্বাস নিতে পারছি। কারণ গত ১৭ বছর আমি সিরাজগঞ্জে আসলেও আমাকে বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।
তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদেরকে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মুসলিম হওয়ার ইতিহাস জানতে হবে। তবেই তোমরা আগামীর বাংলাদেশকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাসী। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই সংস্কার করেছে। ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নশীল করেছিল। বেগম খালেদা জিয়াও উন্নত রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছে। এখন তাদের ছেলে তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নয়নশীল, সুশাসনের রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছে। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আলোচনা সভায় ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এরপর তিনি ইসলামিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতানা সালমা হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ