হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরগরম হয়ে উঠেছে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টে। মূলত গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে নতুন প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিউজফিডজুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে হ্যাঁ না পোস্টের প্রতিযোগিতা।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ঘুরছে এমন পোস্ট। যদিও এর বেশিরভাগেরই কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে অনেক মানুষ অবাক হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এই ট্রেন্ডটিতে। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনের কারণ কী? কারা হ্যাঁ, কারা না এর পক্ষ নিচ্ছেন অথবা কেনই বা নিচ্ছেন? সবমিলিয়ে যে প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে তা হলো গণভোট।
মূলত গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অংশ নিয়েছে বিএনপি একদিকে জামায়াত ও এনসিপি। আর এই সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশটিই হলো ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ছবি পোস্ট করা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করার বিষয়ে অনড়। তবে জামায়াতে ইসলামী চায় নভেম্বরে গণভোট।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি সুনির্দিষ্ট সময় না বললেও সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। ফলে জামায়াত ও এনসিপির দাবি কিছুটা কাছাকাছি হলেও বিএনপি এ ব্যাপারে কোনো ধরনের সমর্থন দেয়নি। বরং দলটি সংসদ ও গণভোট নির্বাচন একই দিনে চায়। ফলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল হয়।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরও এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নিজের প্রোফাইলে না পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এমন প্রচারণা দেখা গেছে। তারা ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট করেছেন।
এরই মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে। কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ