ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে জটিল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বাড়ছে। তাই এই ঝুঁকি প্রতিরোধে ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’-এর পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধকরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্য তেল : অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আলিভা হক এবং প্রজ্ঞার কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। তাই ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’-এর পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধকরণ করা হলে একটি কার্যকর, স্বল্পব্যয়ী ও টেকসই উদ্যোগ হবে। সূর্যালোক বা অতিরিক্ত আলোর সংস্পর্শে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় উল্লেখ করে তাঁরা আলো প্রতিরোধী অস্বচ্ছ বোতলে তেল সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। দেশে ভোজ্য তেল মোড়কজাতকরণে গুণগত প্যাকেজিংয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা। তারা আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতির কারণে শিশুদের অন্ধত্ব এবং গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে রিকেটস, হাড়ক্ষয় ও হৃদরোগসহ নানান অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।