ভারতের বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ থেকে আয় বেড়েছে, নতুন মিডিয়া চুক্তিও রাজস্ব বাড়িয়েছে। তবুও ঘাটতি এড়াতে পারল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১.৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার)। বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ঘরোয়া মিডিয়া অধিকার চুক্তি এবং ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের কারণে সিএ-র মোট রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৩.৭ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৯ মিলিয়ন বেশি। তবে আয় বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে ২৪.১ মিলিয়ন ডলার। মূলত ভারতের সিরিজের বিপণন, আয়োজন ব্যয় এবং জাতীয় দলের অতিরিক্ত সফর খরচ মেটাতে। সদস্য রাজ্যগুলোর মধ্যে বিতরণকৃত অর্থও সামান্য বেড়ে হয়েছে ১২০.৯ মিলিয়ন ডলার।
অর্থনৈতিক এই ঘাটতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া। সংস্থাটির চেয়ারম্যান রস হেপবার্ন বলেন, '২০১৯ সাল থেকে কোভিড-১৯ ও বিশ্বকাপ রাজস্ব বাদ দিলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক হিসাব প্রতি বছরই ঘাটতিতে রয়েছে।'
তবে পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী সিএ প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তিনি জানান, আগামী বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ এবং ভারতের বিপক্ষে হোয়াইট-বল সিরিজ থেকে উল্লেখযোগ্য মুনাফার আশা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
গ্রিনবার্গ বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আগামী মৌসুমেই আর্থিক ভারসাম্য ফিরে আসবে।'
এর পাশাপাশি বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ভাবছে সিএ, যাতে টুর্নামেন্টের প্রতিযোগিতা ও বাজারমূল্য বাড়ানো যায়। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সদস্য রাজ্যগুলোর সম্মতি পাওয়া এখন সংস্থাটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: ক্রিকটুডে
বিডি প্রতিদিন/মুসা