সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ২০ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়ার আপিল মঞ্জুর করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল তার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান, আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। ২০০৭ সালের ৩ মার্চ এ মামলা করা হয়। একই বছরের ৬ জুন চার্জশিট দেওয়া হয়। ২২ জুলাই রায় দেন আদালত। রায়ে তিন ধারায় মোট ২০ বছর দণ্ড (৩ বছর, ১০ বছর ও ৭ বছর) দেওয়া হয় তাকে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় জজ আদালত ওই রায় দেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। এরপর একই বছর তিনি হাই কোর্টে আপিল করেন। ওই আপিলের শুনানি শেষে গতকাল রায় দেওয়া হয়।
রায়ের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সম্পদের হিসাব বিবরণীর মামলা এটি। ১/১১ এর সময় বিএনপির নেতাদের গণহারে গ্রেপ্তার করে এরকম মামলা দেওয়া হয়েছে। যেগুলো আইনসিদ্ধ ছিল না। হাই কোর্টের এ রায়ের মাধ্যমে আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে সম্পদ জব্দ করে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেটাও বাতিল করা হয়েছে।