ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অন্তত দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ধর্মগুরুও রয়েছেন।
মঙ্গলবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, সোমবার রাতে কুর্দিস্তান প্রদেশের সারভাবাদ শহরের কাছে সরকারপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে আইআরজিসির দুই সদস্য নিহত ও অন্য তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলেছে, গ্রেনেড হামলায় আইআরজিসির যে দুই সদস্য নিহত হয়েছেন, তারা হলেন ধর্মগুরু আলিরেজা ভালিজাদে এবং আইয়ুব শিরি।
তবে ওই গ্রেনেড হামলা কারা চালিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিপ্লববিরোধী স্থানীয় একটি গোষ্ঠী ওই ভবনে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
ইরানে সাধারণত ‘বিপ্লববিরোধী’ শব্দটি ব্যবহার করে ইরাক সীমান্তবর্তী কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝানো হয়। এর আগে, বিভিন্ন সময়ে এসব গোষ্ঠী ইরাকি কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ইরানে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তেহরান।
২০২৩ সালের মার্চে ইরান ও ইরাকের মধ্যে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল ইরানি কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র ও সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইরান কারাবন্দি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ ওজালানের পক্ষ থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের অস্ত্রসমর্পণের আহ্বানকে সহিংসতা পরিহারের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানায়।
এর কয়েক মাস আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে ঐতিহাসিক সফর করেন। সূত্র: প্রেসটিভি, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ