স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেছেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। ফলে এখন থেকে সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এ কথা বলেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল, যার ফলে সারা দেশে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। গতকাল ও আজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আশা করি, সরকারি সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীরা তাদের যৌক্তিকতা ফিরে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাত সাধারণ নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার। এই খাতে রোগীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা যাবে না। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহাপরিচালক বলেন, সরকার হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে আন্তরিক। তবে সব দাবি একসঙ্গে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাবিগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় সারা দেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই। আশা করি, সবাই নিজ নিজ কাজে মনোযোগ দেবেন এবং জনমানুষের প্রাপ্যতা অনুযায়ী টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, দীর্ঘদিন পর দেশে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১২ অক্টোবর। এ দিন সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা গ্রহণ করলে শিশুদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। টিকাদানস্থলে সামান্য অস্বস্তি দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে কেটে যাবে। শিশুরা নির্ভয়ে টিকা নিতে পারবে।
এদিকে, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাকক্ষে জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ