টি-২০ সিরিজে প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে টি-২০ সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। সাত বছর পর শারজাহতে দুরন্ত ক্রিকেট খেলে প্রতিশোধ নিয়েছে। মরুশহরে জাকের আলি অনিকের দল যে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে, তার অগ্রসেনানী ছিলেন সাইফ হাসান। শেষ টি-২০ ম্যাচে সাইফের ৩৮ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটি নিয়ে অনায়াশে লেখা যায় ‘মহাকাব্য’। শুধু আফগানিস্তানের বিপক্ষে নয়, টি-২০ সিরিজে ধারাবাহিক ব্যাটিং করেছেন সাইফ। দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ধারাবাহিকতার ফলও পেয়েছেন ডান হাতি ব্যাটার। ওয়ানডে স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে সাইফের। সাইফের অভিষেক হলেও ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অথচ বাঁ-হাতি ওপেনার রয়েছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দিবা-রাত্রির ম্যাচ খেলছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে গত বছরের জুলাইয়ে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিরিজটি জিতেছিলেন রশিদ খানরা। এরপরও দুই দলের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ এগিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজের বাংলাদেশের ১১ জয়ের বিপরীতে আফগানিস্তানের জয় আটটি। দুই দল দুটি করে বাইলেটারাল সিরিজ জিতেছে পরস্পরের বিপক্ষে। টাইগাররা সিরিজ খেলবে মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে। দলের অধিনায়ক হিসেবে মিরাজকে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বিসিবি ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। সিরিজে খেলবেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। সাইফের সঙ্গে ওপেন করবেন তানজিদ তামিম। টি-২০ সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও নুরুল হাসান সোহানের একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম। টি-২০ সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়া জাকের আলির খেলার সম্ভাবনাই বেশি। শামীম হোসেন পাটোয়ারীর শেষ মুহূর্তে একাদশের বাইরে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। টি-২০ সিরিজে ধারাবাহিক ছিলেন না বাঁ-হাতি ব্যাটার। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে খেলতে পারেন বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর। অফ স্পিনার হিসেবে অধিনায়ক মিরাজ তো রয়েছেনই। তিন পেসার খেলবেন একাদশে। টি-২০ সিরিজ দারুণ ছন্দে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একাদশে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব।
শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেট একেবারে অপরিচিত নয় টাইগারদের। টি-২০ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই এখানে খেলেছেন সাইফরা। সেজন্য উইকেটের নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানা টাইগার ক্রিকেটারদের। এ উইকেটে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
তবে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার সংখ্যা কম। পরিসংখ্যান তেমনই জানাচ্ছে। সর্বশেষ পাঁচটি দিবা-রাত্রির ম্যাচের আটটিই জিতেছে আগে ব্যাটিং করা দল। এ মাঠে অবশ্য রান ওঠে। প্রথম ব্যাটিং করা দলগুলোর গড় রান ২৭৪। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে দিবা-রাত্রির। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচ। দুই দলের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ নবী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছেন। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটির অধিনায়ক ছিলেন নবী। ফতুল্লার ম্যাচটি জিতেছিল আফগানিস্তান।