ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রথম প্রধানমন্ত্রী এডোয়ার্ড ফিলিপ। তার এক আকস্মিক আহ্বানে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকটকে আরো জটিল করে তুলেছে।
মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানান এডোয়ার্ড ফিলিপ।
২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ম্যাক্রোঁর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে একটি মিত্র রাজনৈতিক দলের প্রধান হলেন এডোয়ার্ড ফিলিপ। তার হস্তক্ষেপ এমন সময় এলো যখন তার আট বছরের ক্ষমতার মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘ঘরোয়া রাজনৈতিক সংকট’ নিয়ে প্রেসিডেস্টের নিজস্ব শিবিরেও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক মাসেরও কম সময় আগে নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু গতকাল সোমবার সকালে তার নতুন সরকারের জন্য মধ্য-ডানপন্থী জোটের সমর্থন সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পদত্যাগ করেছেন। তিনি সংসদে শুধু সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেয়েছেন।
ম্যাক্রোঁ তাকে জোট সরকারের পক্ষে সমর্থন সংগ্রহের জন্য শেষ চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু অতি-ডানপন্থীরা বৈঠকে যোগ দিতেও অস্বীকৃতি জানানোয় কোনো অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যায়নি।
ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং ফরাসি রাজনীতিতে এটি একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মেরিন লে পেনের নেতৃত্বে ফরাসি অতি-ডানপন্থীরা ক্ষমতা দখলের সেরা সুযোগ অনুভব করছেন।
ম্যাক্রোঁ সাংবিধানিকভাবে তৃতীয়বার ম্যান্ডেট চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ফিলিপ, যিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তিনি বলেছেন, বাজেট পাস হওয়ার আগেই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
একটি ‘দুঃখজনক রাজনৈতিক খেলা’র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ক্ষতি করছে এমন একটি রাজনৈতিক সংকট থেকে সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করা ম্যাক্রোঁর ওপর নির্ভর করে।
ফিলিপ ‘আরটিএল’ সম্প্রচারককে বলেছেন, ‘সুশৃঙ্খলভাবে পদত্যাগ করে তাকে অবশ্যই তার কাজের জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা যায়।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত