দুবাই থেকে ফিরে ভারতে প্রবেশের সময় শুল্ক দিতে না চাওয়ায় দেশটির কেরালার তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে ঘটল নাটকীয় ঘটনা।
শুল্ক দফতর ও এক নারীর আপত্তির কারণে তৈরি হয় উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ ভরি সোনা বিমানবন্দরে ছুড়ে ফেলেন ওই নারী যাত্রী, যদিও সেই সোনা পরবর্তীতে বাজেয়াপ্ত করে শুল্ক বিভাগ।
সম্প্রতি তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এক মধ্যবয়সী নারী যাত্রীর আচরণে। জানা গেছে, কেরালার কোল্লাম জেলার বাসিন্দা ওই নারী দুবাই থেকে ফেরার সময় প্রায় ১২০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার (প্রায় ১২ ভরি) নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। শুল্ক দফতরের কর্মকর্তারা তাকে জানায়, এই সোনার উপর প্রায় ৩৬ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং তাকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তবে ওই নারীর দাবি- এই স্বর্ণালংকারগুলো তিনি দেশ থেকেই নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এই সোনা তার নিজস্ব। দুবাই সফরে তিনি শুধুমাত্র তা ব্যবহার করেছেন, নতুন করে কিছু কেনেননি। শুল্ক অফিসাররা তাকে অনুরোধ করেন, দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার প্রমাণস্বরূপ ক্রয়রসিদ অথবা উপযুক্ত নথিপত্র দেখাতে। কিন্তু তিনি কোনও প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন।
শুল্ক দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি তিনি ছয় মাসের বেশি সময় বিদেশে থাকতেন, তবে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু যেহেতু তার বিদেশ সফর ছয় মাসের কম ছিল, তাই তাকে শুল্ক দিতে বাধ্য করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই নারী। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি স্বর্ণালংকারগুলো ব্যাগ থেকে বের করে রাগের মাথায় একে একে ছুড়ে ফেলতে থাকেন বিমানবন্দরের ভিতরে। সেই সময় নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সিআইএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শেষ পর্যন্ত বহু অনুরোধের পরও শুল্ক দফতর তাদের অবস্থান অটল থাকে। স্বর্ণালংকারগুলোগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এই ঘটনার পর ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে শুল্ক দফতর কোনও মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে গয়না বা মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে ফেরার সময় শুল্ক সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। নথিপত্র না থাকলে বা নিয়ম মানা না হলে বিপাকে পড়তে হতে পারে- এই ঘটনা তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
তথ্য সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ