সর্বশেষ ১৭ ইনিংসে মাহামুদুল হাসানের কোনো ৫০ রানের ইনিংস নেই। সর্বোচ্চ ৪০ রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের সর্বশেষ ইনিংসে ৩৩ রান করেন দুবার জীবন পেয়ে। তার পরও চট্টগ্রাম টেস্ট স্কোয়াডে জয়কে রেখেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। ক্যারিয়ারে ৬ হাজারের ওপর রান। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে মুশফিকুর রহিম। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার গত আট মাস ছন্দে নেই। সর্বশেষ ১২ ইনিংসে নেই কোনো ৫০ রানের ইনিংস। ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার মুশফিককে সমালোচনায় এফোড়-ওফোড় করছেন সমালোচকরা। সিলেটে মুশফিক অবশ্য রান করেছেন ৪ ও ৪।
শুধু মুশফিক নন, দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই রান পাচ্ছেন না। শুধু বাজে ব্যাটিংয়ে নাজমুল বাহিনী সিলেটে হেরেছে ৭ উইকেটে। সিরিজে ফিরতে মরিয়া নাজমুলরা এখন চট্টগ্রামে। আগামীকাল শুরু চট্টগ্রাম টেস্ট। টেস্টকে সামনে রেখে ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল অনুশীলন করেছে টাইগাররা। অনুশীলনের ফাঁকে কথা বলেন জাকের। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকের ছন্দহীনতা নিয়ে জাকের বলেন, ‘দলে তো (মুশফিকুর রহিম) উনি একা খেলছেন না। উনারই যে রান করতে হবে... রান সবারই করতে হবে। হয়তো উনি করছেন না, এটা যে কারও সঙ্গেই হতে পারে। উনারই যে প্রতিদিন রান করতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
সিলেট টেস্টে জয় রান করেছেন ১৪ ও ৩৩। মুশফিক রান করেছেন ৪ ও ৪। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল ৫৬ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের অনিক ২৮ ও ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। উভয় ইনিংসে রান করেন মুমিনুল। খেলেন ৫৬ ও ৪৭ রানের ইনিংস। ওপেনার সাদমান রান করেন ১২ ও ৪। ওপেনিং জুটিতে রান নেই বলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে জিততে মরিয়া টাইগাররা। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টের হাতছানি দিচ্ছে মুশফিককে। দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক সাবেক অধিনায়ক। তার রান ৯৫ টেস্টের ১৭৬ ইনিংসে ৬০১৫। সেঞ্চুরি ১১ ও হাফসেঞ্চুরি ২৭টি। সর্বশেষ ১২ ইনিংসে তার স্কোর ৪, ৪, ২, ০, ৩৩, ১১, ৩৭, ১১, ১৩, ৮, ২২৮ ও ৩। এমন পারফরম্যান্সের পর যে কোনো ক্রিকেটারেরই বাদ পড়া উচিত। অথচ টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছেন মুশফিকের ওপর অভিজ্ঞতার জন্য। জাকেরের বিশ্বাস রানে ফিরবেন মুশফিক, ‘মুশফিক ভাই সব সময় কঠোর পরিশ্রম করেন। এখনো করছেন। আশা করি তিনি রানে ফিরবেন।’