আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে নিজের হাতে প্যারাগ্লাইডার তৈরি করে চমক দেখিয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের তরুণ মারুফ মোল্লা। নিজের তৈরি প্যারাগ্লাইডার নিয়ে আকাশে উড়েছেনও তিনি। তাই দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। মারুফের হাতে তৈরি প্যারাগ্লাইডার নিয়ে হইচই পড়েছে চারদিকে। জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন ছিল মারুফের। কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে প্রথম এই ইচ্ছা তার মনে জাগে। এরপর ইউটিউব দেখে প্যারাগ্লাইডার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যান। এটি তৈরি করতে গিয়ে অনেক সমস্যারও সম্মুখীন হন মারুফ। ছয় মাস পর প্যারাগ্লাইডার আকাশে ওড়াতে সক্ষম হন তিনি। মারুফ মোল্লা বলেন, আমি প্রায় ছয় মাসের প্রচেষ্টায় সফল হয়েছি। বিদেশ থেকে প্যারামোটর আনতে প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়, কিন্তু আমি মাত্র ১ লাখ টাকায় এটি তৈরি করেছি। প্রথমে রিমোট কন্ট্রোল প্রটোটাইপ প্যারামোটর তৈরি করি। তবে সেটি সফলতা না পাওয়ায় আমি মানুষবাহী প্যারাগ্লাইডার তৈরির উদ্যোগ নিই। প্রথমে ব্যালেন্স করতে একটু কষ্ট হলেও এক সময় পাই সফলতা। পূরণ হয় আকাশে ওড়ার স্বপ্ন। মাঝেমধ্যেই প্যারাগ্লাইডার নিয়ে উড়ে বেড়াই আকাশে। যদি সরকারের সহযোগিতা পাই, তবে আরও বড় প্যারাগ্লাইডার তৈরি করব এবং তা বাজারজাত করব। আমি ইলেকট্রিক্যাল থেরাপি মেশিনও তৈরি করেছি, যা হাত-পা ঘামানোর সমস্যার সমাধান দিতে সাহায্য করবে। স্থানীয়রা জানান, পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে এসএসসি পাসের পর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি মারুফ। কিন্তু তার মনোবল এবং আকাশে ওড়ার আকাঙক্ষা কোনোভাবেই দমেনি। স্থানীয়রা আরও জানান, ছোটবেলা থেকেই কিছু না কিছু তৈরি করতেন মারুফ। হঠাৎ দেখা গেল প্যারাগ্লাইডারে আকাশে উড়ছেন মারুফ। মারুফের আকাশে ওড়ার দৃশ্য দেখে গ্রামের আনেকেই এখন গর্ব করছেন। এ ছাড়া মারুফ এয়ারকুলার ও ইলেকট্রিক্যাল থেরাপি মেশিন তৈরি করেছেন। যাদের হাত-পা ঘামে তারা এ মেশিনের সাহায্যে উপকার পেতে পারেন।