বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অর্থ অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের ব্যাখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, সভাপতি ফারুক আহমেদ বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ‘গ্রীন ও ইয়েলো’ জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকসমূহ থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকসমূহে পুনঃবিনিয়োগ করে।
বাকি ১২ কোটি টাকা বিসিবির বিবিধ পরিচালনা ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে রাখা হয়েছে। অর্থ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাপতি একা নেননি। পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে ব্যাংক পরিবর্তন বা লেনদেনের সুযোগ নেই। এসব ক্ষেত্রে বোর্ড পরিচালক ও বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনামের স্বাক্ষর নিতে হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বিসিবি স্বায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে ও অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে বিসিবি। অবকাঠামো উন্নয়নে বিসিবি অংশীদার ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকা বিনিযোগের আশ্বাস পেয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে বোর্ডের অর্থ স্থানান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্য বলে অভিযোগ করেছে বিসিবি।
বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিসিবি সর্বোচ্চ মানের আর্থিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ