রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণসহ আট দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার; নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি এবং আহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ; আহতদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ এবং হেলথ কার্ড প্রদান; আহতদের পুনর্বাসন; ২১ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক দিবস পালন; নিহতদের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ; নিহতদের শহীদি মর্যাদা (সনদ, গেজেটসহ) প্রদান এবং নিহতদের স্মরণে উত্তরায় একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নিহত নাজিয়া ও নাফির বাবা আশরাফুল ইসলাম।
নিহত তাসনিয়া হকের বাবা নাজমুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় সন্তানদের কবর দিয়ে প্রতিনিয়ত দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি। আহতদের ফিজিওথেরাপি, ড্রেসিং, গ্রাফটিংসহ দীর্ঘ চিকিৎসার ব্যয় ও যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশের নয়। অনেক শিশু ও শিক্ষক আছেন যাদের অবস্থা এতটাই গুরুতর যে তারা হয়তো আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না।’ ‘প্রধান উপদেষ্টা তিনজন শিক্ষকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও আমাদের সঙ্গে করেননি’ উল্লেখ করে আক্ষেপ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আহত রায়ান তৌফিকের বাবা সুমন, নিহত সামিউলের বাবা রেজাউল করিম শামীম, আহত সানজিদা বেলায়েতের মেয়ে জায়ানা মাহবুব প্রমুখ।
তাঁরা বলেন, এ অমানবিক ট্র্যাজেডির সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করতে হবে। আমাদের সন্তানরা স্কুলে ছিল, সরকারের যুদ্ধবিমান সেখানে পড়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এ বিমান যে কোনো জায়গায়, যে কোনো মানুষের ওপর পড়তে পারত। তাই এ দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’