মধ্যরাত থেকে ভোররাত- টানা পাঁচ ঘণ্টার বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়ে কলকাতা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। গড়িয়া, কসবা, সাদার্ন এভিনিউ, নাগেরবাজার, লেক মার্কেট, বোসপুকুর তালবাগান, যাদবপুর, চেতলা, পার্ক সার্কাসে থইথই অবস্থা। জলমগ্ন কলকাতার আরজিকর মেডিকেল হসপিটাল চত্বর। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা কার্যত নদীতে পরিণত হয়। কোথাও হাঁটু সমান পানি, কোথাও কোমর সমান। পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার কারণে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান পাঁচজন। দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভেসে থাকে তাদের লাশ। এদিকে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কলকাতার কালিকাপুর অভিষিক্তা মোড়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন মাঝ বয়সি এক ব্যক্তি। ভারসাম্য হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই সাইকেল থেকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জলমগ্ন বেহালার নেতাজি নগর মোড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রশান্ত কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তির। গড়িয়াহাটের বালিগঞ্জ প্লেসে মৃত্যু হয় আরেকজনের। বেনিয়াপুকুর এবং মোমিনপুরেও একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শহরে জমা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য একদিকে যেমন পাম্প লাগিয়ে কলকাতা পৌরসভা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি বিপর্যয় এড়াতে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে হাওড়া পৌরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন-এর চারপাশে থইথই পানি। পানি ঢুকে যায় দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে।
হাওড়া ডিভিশনের টিকিয়াপাড়া কারশেডে রেল ট্রাকে পানি জমে যাওয়ায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। শালিমার স্টেশনে সিগন্যাল সিস্টেম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।