বেসরকারি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) গৃহঋণ ও গাড়ি কেনার ঋণসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব দাবি উপস্থাপন করেন এবিবির প্রতিনিধিরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, প্রাইম ব্যাংকের এমডি হাসান ও রশিদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, এমটিবির এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়সহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এবিবি কয়েক মাস আগে লিখিতভাবে এসব প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠক ডাকে। সভায় কিছু প্রস্তাব নীতিগতভাবে মেনে নিলেও গ্রাহকস্বার্থ সুরক্ষায় কয়েকটি প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিগগিরই সার্কুলারের মাধ্যমে কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
এবিবির প্রস্তাবের মধ্যে ছিল-সব ধরনের লেনদেন ডিজিটালাইজ করা, যাতে জমা বিলম্ব দূর হয়, বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন বাড়ানো সহজ করা, সিএমএসএমই খাতের ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং নীতিতে নমনীয়তা আনা, এক বছরের বেশি অনাদায়ী ঋণ অবলোপনের সুযোগ দেওয়া, ঘূর্ণায়মান ঋণের অতিরিক্ত অংশ সমন্বয়ে বাড়তি সময় দেওয়া এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের সুযোগ রাখা। এ ছাড়া নির্ধারিত সেবামূল্য বাতিল করে ব্যাংকগুলোকে নিজস্বভাবে চার্জ নির্ধারণের অনুমতি, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা যাচাই, গৃহঋণসীমা ৫ কোটি টাকা করা, গাড়ি কেনায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া, হাইব্রিড গাড়ি কেনায় ঋণসীমা প্রত্যাহার, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ঋণসীমা ৪০ লাখ এবং ক্রেডিট কার্ডে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।