গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ (৪২) মারা গেছেন। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান শামীম। এ নিয়ে গত ১০ বছরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ফায়ার সার্ভিসের ২৪ জন সদস্য।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়া শামীমকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গেছেন। শামীমের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতী গ্রামে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন শামীম। ২০ বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত শামীম। সম্প্রতি লিডার পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গতকাল মাগরিবের পর ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে শামীমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকায় ফমাস কেমিক্যালস লিমিটেড নামে একটি টিনশেড সেমিপাকা গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের ৫৩ জন সদস্য। আগুন নির্বাপণের সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে দগ্ধ হন চার ফায়ার ফাইটারসহ আরও কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের চারজনের মধ্যে জয় হাসান নামে একজনের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নুরুল হুদা ও শামীম আহমেদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগ পুড়ে যায়। ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে। জান্নাতুল নাঈম ও নুরুল হুদার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।