পাবনার রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম জিল্লুর রহমানকে নিম্নপদে অবনমিতকরণ করেছে সরকার। অর্থাৎ তার বেতন কমানো হয়েছে। একই ঘটনায় অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. রফিকুজ্জামান পাবনার গণপূর্ত সার্কেলে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) (সাময়িক বরখাস্তকৃত) এবং জিল্লুর রহমান রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল-চলতি দায়িত্ব) পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয় এবং ভবনে মালামাল ওঠানোর কাজে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রফিকুজ্জামানকে চাকরি হতে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুপারিশের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত অধিদফতরের দুই উপসহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও একজনের বেতন কমানো (নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ) হয়।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের জন্য কেনা একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার টাকা। এ কারণে ঘটনাটি সর্বমহলে ‘বালিশকাণ্ড’ নামে পরিচিতি পায়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ