ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের আরও পাঁচটি দেশ। জাতিসংঘ অধিবেশনের প্রাক্কালে নিউইয়র্কে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অ্যান্ডোরা, মোনাকো ও লুক্সেমবার্গ ও মাল্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে এ স্বীকৃতি দেয়। একই সম্মেলনে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম একই ঘোষণা দেয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের। ফিলিস্তিনকে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর স্বীকৃতির পরও চলছে ইসরায়েলি অভিযান, যুদ্ধের শেষ চায় গাজাবাসী। এদিকে, ফিলিস্তিনকে পশ্চিমাদের দেওয়া রাষ্ট্রের স্বীকৃতি যুদ্ধের ভয়াবহতা থামাতে পারেনি- সেকথাই গাজাবাসীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গাজা সিটির গভীরে ঢুকতে থাকা ইসরায়েলি ট্যাংক। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এখন এই যুদ্ধ বন্ধ করুক-সেটিই এ মুহূর্তে ক্লান্ত-শ্রান্ত গাজাবাসীর চাওয়া। গাজায় ইসরায়েলের প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্ব নেতারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বাগত জানাতে জাতিসংঘ সম্মেলনে জড়ো হওয়ার পরদিনই ইসরায়েল গাজা সিটি অভিযানে অগ্রসর হয়। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির এ উদ্যোগ ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েল বলছে, এ পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষুণ্ন করবে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার বেশির ভাগ এলাকা এরই মধ্যে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ধ্বংস হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন গাজা সিটির। সেখানকার হাসপাতালগুলোও প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবের মুখে রয়েছে। গাজা সিটির এক বাসিন্দা চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা অসহায়। আমাদের দক্ষিণের দিকে সরে যাওয়ার অর্থ নেই। আর ইসরায়েল যে আমাদের ওপর বোমা ফেলবে না সে নিশ্চয়তাও নেই। সেকারণে আমরা এখানেই থাকছি।
শিশুরা বিস্ফোরণের শব্দে সবসময় কাঁপছে। আমরাও ভয়ে আছি। তারা হাজার বছরের পুরোনো একটি নগরী নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে, আর বিশ্ব সাড়ম্বরে একটি রাষ্ট্রের প্রতীকী স্বীকৃতি দিচ্ছে, যে পদক্ষেপ আমাদের হত্যা করা বন্ধ করতে পারবে না।