যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনার পরপরই এনসিপি এক বিবৃতিতে আখতার হোসেন ও তাসনিম জারার ওপর হামলার নিন্দা জানায়। দলটির নেতারা বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিপন্থী। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাসনিম জারাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এ ঘটনায় অন্তবর্তী সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও আহ্বান জানান।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তাজনুভা লেখেন, ‘রাজনীতিতে আসার পর থেকে আমরা নারীরা হেন কোনো গালি নাই শুনি নাই। হেন কোনো সাইবার বুলিং নাই যার মধ্যে দিয়ে যায় নাই। ম বর্গীয়, খ বর্গীয়সহ সব ধরনের গালাগালি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কিন্তু আজকে নিউইয়র্কে জারাকে যে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হল, আখতারের ওপর হামলা করা হলো, তাও বাংলাদেশ সরকারের সফরসঙ্গী হিসেবে এর চেয়ে নিন্দনীয় কিছু হতে পারে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তাজনুভা লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। কেন এরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। কেন তারা একমাত্র নারী রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। শেইম! অন্তর্বর্তী সরকারের এদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। জারার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখে নারী নারী করে ফেনা তুলে ফেলে, অথচ সাথে করে নিয়ে তাকে আক্রমণের মুখে ফেলে রেখে চলে গেসে।’
এ হামলার দায় সরকারকে নিতে হবে জানিয়ে এনসিপি নেত্রী বলেন, ‘আখতার শুধু এনসিপির নেতা না, আখতার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জীবন্ত প্রতীক। ইতিহাস সাক্ষী, আখতার রাজপথে থেকে, জেল জুলুম সহ্য করে হাসিনাকে বিতারিত করেছে দেখেই আজকে আপনারা একেকজন উপদেষ্টা। যার অবদানে সরকার হইসেন তাকেই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ! ধিক্কার জানাই। এনসিপি এর জবাব নিয়ে ছাড়বে। নিজেদের দলের সাংগঠনিক সফরে গিয়ে এই হামলার শিকার হলে এক কথা, সরকারের সাথে গিয়ে এই অবস্থা? বাংলাদেশ সরকারকে এর দায় অবশ্যই নিতে হবে। বাকিটা এনসিপি রাজপথে বুঝে নিবে।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ