জিতলে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। হারলে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলংকা।
মঙ্গলবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে
১৩৩ রান করেছে লঙ্কানরা।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় শ্রীলংকা। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে টুর্নামেন্টের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কুশাল মেন্ডিসকে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফেরান আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুশাল পেরেরাকে ফেরান হারিস রউফ। অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে শ্রীলংকার বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে ফেরান হুসাইন তালাত।
৭.৩ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলংকা। একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে যখন শ্রীলঙ্কার তথৈবচ অবস্থা, তখন হাল ধরেন কামিন্দু মেন্ডিস। ৮০ রনে ৬ উইকেট পড়ার পর হাল ধরে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে তিনি নিয়ে যান একটা সম্মানজনক পর্যায়ে।
কামিন্দু মেন্ডিস ৪৪ বলে করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। ৮০ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট পড়ার পর দুষ্মন্তে চামিরার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরকে ১২০ পার করে দেন কামিন্দু। ১২৩ রানের মাথায় তিনি আউট হলে রানের গতি কিছুটা কমে। তবে দুষ্মন্তে চামিরা অপরাজিত ১৭ রান করে লঙ্কানদের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে নিয়ে যান।
পাকিস্তান:
সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, সালমান আগা (অধিনায়ক), ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
শ্রীলংকা:
পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), কুশল পেরেরা, চারিত আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), দাসুন শানাকা, কামিন্দু মেন্ডিস, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহীশ তিকশানা, দুষ্মন্ত চামিরা ও নুয়ান তুষারা।র চরম ব্যাটিং বিপর্যয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম