কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক কারবারে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গণপিটুনিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল সকালে কড়ইবাড়ি স্টেশন এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। এতে শতাধিক নারী ও শিশু অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি নিয়ে একটি পক্ষ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। প্রকৃত অপরাধী ছাড়াও নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করছে। আতঙ্কে এক মাস ধরে পুরুষশূন্য কড়ইবাড়ি গ্রাম।
ওই গ্রামের সালমা আক্তার, জমিলা বেগম ও জাহেদা খাতুন বলেন, একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি বিনা অপরাধে বাড়ি ছাড়া। এতে পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হোক, কিন্তু গ্রামের সবাইকে যেন হয়রানি না করা হয়। তারা অভিযোগ করেন, মাদক কারবারিদের পরিবার বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাম পুরুষশূন্য থাকায় চুরি-ডাকাতিরও আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রিপল মার্ডারের মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। এ মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা আটক করছি না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কড়ইবাড়ি গ্রামে জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে ও মেয়েসহ নিহত হন মাদক কারবারি রুবি আক্তার। এ ঘটনায় রুবির বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১৩ জনকে আসামি দিয়ে মামলা করেন। মামলায় ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৫ নম্বর আসামি শাহ আলম চেয়ারম্যানকে আটক করে ডিবি পুলিশ।