গাছগাছালিতে ভরা দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর বনবিট নিমেষেই আকর্ষণ জাগাতে পারে পর্যটকদের। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, অসংখ্য পাখি ও প্রাণী থাকায় বনটি পরিণত হতে পারে পর্যটন কেন্দ্রে। প্রায় ৩ হাজার একরের বনটি সরকারের রাজস্বের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে দরকার শুধু বাস্তবমুখী পরিকল্পনার।
জেলা শহর থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে সীমান্তঘেঁষা এ বনবিটে যেতে রাস্তার দুই ধারে চোখে পড়ে সারি সারি শাল গাছ। বনের গভীরে গেলে আকাশমণি, মিনজুরি, ইউক্লিপ্টাসসহ নানা প্রজাতির বনজ ও ঔষধি গাছের দেখা পাওয়া যায়। বনে রপ্তানিযোগ্য আগর ও বাঁশ-বেত বাগানও করা হয়েছে। দেখা মেলে বনবিড়াল, খ্যাঁকশিয়ালসহ ২০-২৫ প্রজাতির প্রাণীর। শীত মৌসুমে বনভোজনের উদ্দেশ্যে জনসমাগম ঘটে বনে। তবে ভ্রমণপিপাসুদের থাকার জন্য রয়েছে একটি মাত্র ডাকবাংলো।
বনে ঘুরতে আসা মোসাদ্দেক হোসেন নামে একজন জানান, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লতা গাছ কাস্টল এখানে রয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া অনেক গাছ রয়েছে। এখানকার গাছ গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে। স্থানীয় হাফিজ উদ্দিন বলেন, বনে অনেক পুরোনো গাছ রয়েছে। আবার কতগুলো গাছ আছে যা অন্য বনে দেখা যায় না।
দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বনবিট কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী জানান, বনবিটে ২৫ প্রজাতির অধিক গাছ। রপ্তানিযোগ্য আগর গাছের পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে বনে। বর্তমানে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। সঠিক পরিকল্পনায় বনটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।