তুরস্কের ইস্তাম্বুলের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত মারমারা সাগরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সেখানে অন্তত ৫১টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
মারমারা সাগরের সিলিভ্রিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যা আশপাশের প্রদেশগুলোতেও অনুভূত হয়। এরপরই ছোট ছোট আফটারশক অনুভূত হয়।
শহরের ভবনগুলো এসময় ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠলে লোকজনকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে লোকজনকে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করা এবং গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব নিরূপণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাভুত গুল বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে এবং পালাবার জন্য উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে কমপক্ষে ১৫১ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল। দেশটিতে আঘাত হানা ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫৩ হাজার ৫৩৭ জন মারা যান।
সিরিয়া সরকার জানায়, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়।
কিন্তু উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সমর্থিত কর্মকর্তারা জানান, ওই ভূমিকম্পে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৪ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হন।
ফলে দুই দেশের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটিতে ৫৯ হাজার ৪৮৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হয় পেরুতে। ১৯৭০ সালের ভূমিকম্পে দেশটিতে ৬৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সূত্র: টারকিশ মিনিট, আল-আহরাম, আল-জাজিরা, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ